সামাজিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে উদ্দীপনের সাথে গ্রামীণফোনের পার্টনারশিপ
প্রকাশ : 2022-01-17 20:39:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সম্প্রতি, উদ্দীপনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গ্রামীণফোন। উন্নয়ন সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেদের দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক ও উদ্ভাবনী আইসিটি সল্যুশনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ চুক্তি সম্পন্ন করে গ্রামীণফোন। এ চুক্তির অধীনে গ্রামীণফোন উদ্দীপনকে প্রযুক্তিগত ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সুবিধা প্রদান করবে। উল্লেখ্য, আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কমিউনিটির ক্ষমতায়নে কাজ করে উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান এবং উদ্দীপনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বিদ্যুৎ কুমার বসু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ বিসনেস অফিসার কাজী মাহবুব হাসান, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব লার্জ অ্যাকাউন্ট এম. শাওন আজাদ, জেনারেল ম্যানেজার, লার্জ অ্যাকাউন্ট মো. রাজীব খান, প্রতিষ্ঠানটির কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার শুভাশিস কুমার ভট্টাচার্য, উদ্দীপনের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফিল্ড অপারেশন ডিরেক্টর মো. সগীর হোসেন, সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ফয়সাল মুহাম্মদ ওয়াহিদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আইটি মো. ইশতিয়াক হাসান, অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর – সিপি অ্যান্ড আর শ্যামা সরকার এবং অ্যাডমিন ম্যানেজার দিলারা জাহান স্বপ্না।
উদ্দীপন সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা, তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরিতে অর্থের যোগান এবং এক্ষেত্রে সুযোগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কৌশলের ওপর আলোকপাত করে। উন্নয়ন সংস্থাটি সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের সংগঠিত হতে সহায়তা করে এবং নিয়মিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে নিজস্ব সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্ব-পরিচালিত জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে উদ্দীপন এবং সংস্থাটি এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৭৫০টিরও বেশি শাখার মাধ্যমে ৪৫০টি উপজেলায় এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে।
এই ধরনের বিস্তৃত এবং ব্যাপক উন্নয়ন প্রচেষ্টার জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল কানেক্টিভিটি। তাই, উদ্দীপনের সেবার গুণগতমানকে উন্নত করার জন্য গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত হয়েছে, যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো সবাইকে প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়ন।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে আমরা সবসময় সুবিধাবঞ্চিত কমিউনিটির ক্ষমতায়নে অংশীদারিত্বের সুযোগ খুঁজেছি। উদ্দীপনের মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তিগত সেবা এবং উদ্ভাবনী সল্যুশন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে সক্ষম করবে এবং ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। আর এভাবেই বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা একসাথে এগিয়ে যাব।”
এ নিয়ে উদ্দীপনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বিদ্যুৎ কুমার বসু বলেন, “আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতির জন্য বিভিন্ন ধরনের ডেটা ব্যবহারের পাশাপাশি আমাদের সকল স্তরের কর্মকর্তা এবং সুবিধাভোগীদের মধ্যে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের প্রয়োজন। আমাদের অংশীদার হিসেবে গ্রামীণফোনের সারা দেশে বিস্তৃত ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজের মাধ্যমে এই চাহিদাগুলো এখন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পূরণ হতে চলেছে। আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য মোবাইল অপারেটরটিকে ধন্যবাদ; কেননা, আমরা দেশজুড়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশ ও উন্নতির জন্য আরো বেশি সংখ্যক কমিউনিটি-ডিমান্ড-ড্রিভেন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনার কাজ শুরু করেছি।”