সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর ৭ ও ওসি মাজহার ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশ : 2024-09-20 19:02:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে ৫ দিনের রিমান্ডে। দুই জনকে পৃথক দুই হত্যা মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় রিমান্ড হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানের। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। মশিউর রহমানের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানী থেকে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকালে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মাদ্রাসাছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগের মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মৃগাংক শেখর তালুকদার আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। মাজহারুল ইসলামের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার থেকে মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকালে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার বউবাজারের রোডে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলি মাদ্রাসাছাত্র আরিফের চোখে লাগে।চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরিফের বাবা মো. ইউসুফ যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।