সাবরেজিষ্টার তেতুঁলিয়া অফিসে জুলেখার জমি রেজিষ্ট্রিতে জালিয়াতি
প্রকাশ : 2025-01-12 17:11:00১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে নানা অনিয়ম। অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে দলিল সম্পাদন,দলিলে হাতের নকশা পরিবর্তন,দলিলে কম মূল্য দেখানোসহ জমাজমির কাগজপত্রে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অফিসটিতে অফিস সহকারীর(কেরানী) জুলেখা বেগমের একক অধিপত্য বিস্তার তৈরি হয়েছে।
তিনি সদর উপজেলার টুনিরহাট সাবরেজিষ্টার অফিস থেকে তেতুঁলিয়া সাবরেজিষ্টারে বদলি হলে তিনি সেখানে তার দাপট চালিয়ে জমি মালিকদের নিকট থেকে অবৈধ পন্থায় হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জানা যায়,তেঁতুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জেলা প্রশাসকের জমি ক্রয়ের অনুমতিপত্র জালিয়াতি করে দলিল লেখক আনিছুর রহমান ও রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি জুলেখা বেগমের সহযোগিতায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে করতোয়া সোলার লিমিটেড এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসিকুল ইসলাম গত বছরের ১১ জুলাই ৪৫ বিঘা জমি রেজিস্ট্রির কাজ সম্পাদন করে। যারদলিল নং-১২৫৩।রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্যানুযায়ী, করতোয়া সোলার লিমিটেড জমি রেজিস্ট্রির সময় জেলা প্রশাসকের জমি ক্রয়ের অনুমতিপত্রে, জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ উল্লেখ রয়েছে।খোঁজ নিলে যার নথি জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখায় নাই।তারা জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ সালে রাজস্ব শাখা থেকে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে স্বারক নং- ৪১৪। সেখানে এক বছরের মধ্যে জমি ক্রয় সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।এছাড়াও অকৃষি জমি কেনার কথা বলা হলেও দুই ফসলি জমি ক্রয় করেছে করতোয়া সোলার লিমিটেড।জমি দাতা ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন দিপু বলেন, ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জমির মূল্য নির্ধারনের পর, দুইকোটি টাকা দিয়েই করতোয়া সোলার লিমিটেড এর সুজা মিয়া, তৎকালীন সরকারের দাপট আর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহীনির লোকজন আসে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়।বিষয়টি থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল।যদিও দলিলে মূল্য দেখানো হয়েছে এক কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।করতোয়া সোলার লিমিটেড এর প্রশাসক সুজা মিয়া বলেন,জমি ক্রয়ের অনুমতিপত্রটি আগের আমরা দলিল লেখককে জমা দিয়েছি কিন্তু কে কি করেছে সেটা জানিনা।জমি ক্রেতা তেঁতুলিয়া এলাকার ওমের আলী বলেন,জমি রেজিস্ট্রি করতে সব ধরনের কাগজপত্র থাকলেও অফিস খরচ বাবাদ দিতে হয় ৮০০-১ হাজার টাকা।কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত আরো গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা।এছাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ সাহেরা শাহরিনকে দলিলে হাতের নকশা পরিবর্তনের দায়ে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন,আমাকে ভলিয়ম বের করে দেয় নকল নবীশ আহম্মেদ আলী।ভলিয়মে যা ছিল তাই দেওয়া হয়েছে।দলিলের দাতা ক্রেতার সাথে আমার ব্যাক্তিগত পরিচয় নাই।তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি ও বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানান।
তেঁতুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার রাশেদুজ্জামান বলেন আমি কর্মস্থলে নতুন এসেছি। এখন কোন অনিয়ম নেই অতিরিক্ত ফ্রি নেওয়া বন্ধ করেছি। করতোয়া সোলার কোম্পানীর জমি রেজিষ্ট্রির কাগজপত্র ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে।