সমরজিৎ রায় চৌধুরীর শেষকৃত্যের আয়োজন
প্রকাশ : 2022-10-10 12:12:03১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য চিত্রশিল্পী শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরীর শেষকৃত্য সোমবার রাজধানীর সবুজবাগ শ্মশানে সম্পন্ন হবে। বর্তমানে তার মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সমরজিৎ রায়ের মরদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে রাখা হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এরপর রাজধানীর সবুজবাগ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
রোববার (৯ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন অধ্যাপক সমরজিৎ রায়।
সমরজিৎ রায় চৌধুরী (জন্ম ১৯৩৭) হলেন একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী। তিনি গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলেও প্রথম থেকেই সৃজনশীল সুকুমার শিল্পচর্চায় করেছেন এবং নিরীক্ষাধর্মী শিল্পচর্চার সাথে জড়িত আছেন। চিত্রকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
চৌধুরী ১৯৩৭ সালে বর্তমান বাংলাদেশের (তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত) কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি তৎকালীন সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) গ্রাফিক ডিজাইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এই ইনস্টিটিউটে তার শিক্ষক ছিলেন জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসানসহ অনেক খ্যাতনামা শিল্পী।
চৌধুরী ১৯৬০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে যোগ দেন এবং সেখানে ৪৩ বছর চাকরি জীবন শেষে অধ্যাপক হিসেবে ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির চারুকলা এবং প্রদর্শন কলা বিভাগের ডিন হিসেবে ২০১০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারনিউমারেরি অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
চৌধুরী তার প্রথম একক প্রদর্শনী করেন ১৯৮৩ সালে। এতে তার ৬০টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে ছিল ৩০টি তেলরঙের কাজ, ১৬টি গোয়াশ, ৫টি প্যাস্টেল, ৩টি এচিং ও ৬টি ড্রইং।[৪] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে "দৃশ্যান্তর" বা "মন্তাজ" শীর্ষক একটি প্রদর্শনী করেন। এতে অ্যাক্রিলিক, জলরঙ, এচিং, ড্রইং, উডকাট, প্যাস্টেলের কাজ সহ ৭১টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়।
১৯৬০: নিখিল পাকিস্তান টেক্সটাইল ডিজাইন প্রতিযোগিতায় ১ম পুরস্কার
১৯৬০: পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে টাইমটেবল কভার ডিজাইন পুরস্কার
২০১৪: চিত্রকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক।[উইকিপিডিয়া]