সচিবালয় ঘেরাও করে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশ : 2024-11-11 16:24:12১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সচিবালয় ঘেরাও করে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয় সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে সামনে অবস্থান নেন তারা। এর আগে সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গণপদযাত্রায় দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেওয়ার পরই সবগুলো গেট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সচিবালয় থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারেনি আবার কোনো গাড়ি প্রবেশও করতে পারেনি। এতে অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সচিবালয় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা গেটের সামনে আসার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নেন। বন্ধ গেটগুলোর সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

সচিবালয়ের ভেতরে গাড়িগুলো বাইরে বের হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দিকের ৫ নম্বর গেট দিয়ে হেঁটে বের হতে দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকবার অবরুদ্ধ ছিল প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়।

আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিনদিনের একটি আলটিমেটাম দেবো। একই সঙ্গে হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

কা/আ