সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি

প্রকাশ : 2025-11-06 16:19:14১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি

প্রাথমিক শিক্ষায় 'সংগীত' ও 'শারীরিক শিক্ষা' বিষয়ে শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগীত বিভাগের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, ডাকসুর সদস্য হেমা চাকমা, এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ ও নৃত্যকলা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক।

কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, "শুধু ধর্ম দিয়ে কোনো রাষ্ট্রের বিকাশ সম্ভব নয়। সংস্কৃতি কখনো ধর্মের প্রতিবন্ধক নয়। ধর্ম যেমন মানুষের আত্মিক বিকাশ ঘটায়, তেমনি সংগীত, পারফর্মিং আর্ট, চলচ্চিত্র, নাটক, কবিতা, আবৃত্তি ও শিল্পকলা মানুষের মানবিক চেতনা জাগ্রত করে।"

তিনি আরও বলেন, "তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশে সংগীত শিক্ষক অপরিহার্য। তাহলে আমাদের বাংলাদেশে কেন থাকবে না? যেখানে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে নাটক, সংগীত, চলচ্চিত্র বিভাগ খোলার উদ্যোগ নিচ্ছি, সেখানে প্রাথমিক স্তরে এসব পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন? এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।"

সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমান তুহিন বলেন, "বিশ্ব ইতিহাসে দেখা যায়, সভ্যতা টিকে আছে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সংগীতের ওপর। প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত আমাদের শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বন্ধ করার এক চক্রান্ত। কার স্বার্থে এটা করা হচ্ছে?"

সমাবেশে ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়রা উপন্যাস বলেন, "প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সময়টাকে বলা হয় 'ফাউন্ডেশন এজ'। এই বয়সে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের পাশাপাশি সংগীত, অঙ্কন ও শারীরিক শিক্ষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাবা–মায়েরা সবসময় বলেন, সংস্কৃতির চর্চা মানুষকে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে, সংগীত মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখে। তাহলে আজ কেন আমাদের এই মৌলিক দাবিগুলো জানাতে হচ্ছে?"

কা/আ