শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম: দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা

প্রকাশ : 2024-09-22 17:42:13১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম:  দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা

শ্রীলঙ্কার চলমান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। ফলে ১৯৮১ সালের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফা ভোট গণনা চলছে। 

দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন ভোটার মোট তিনজন প্রার্থীকে বেঁছে নিতে পারেন। যারমধ্যে থাকে প্রথম পছন্দ, দ্বিতীয় পছন্দ ও তৃতীয় পছন্দ। প্রথম পছন্দকে ভোট হিসেবে গণনা করা হয়। যদি নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এককভাবে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ভোট না পান তখন দেখা হয় তাকে কতজন ভোটার তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দ হিসেবে ভোট দিয়েছেন। সেগুলোও পরবর্তীতে ওই নির্দিষ্ট প্রার্থীর ভোট হিসেবে গণনা করা হয়।

এর আগে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যতবারই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে ততবারই প্রথমধাপে একজন প্রার্থী ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

এবারের নির্বাচনের প্রথম গণনায় দেখা গেছে বামপন্থি রাজনীতিবিদ অনুরা কুমার দিসানায়কে পেয়েছেন ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট। বিরোধী দলীয় সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। এ দুজন বাদে বাকি সব প্রার্থীকে ‘বাতিল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অনুরা কুমার এবং সাজিথ প্রেমাদাসা বাদে যেসব প্রার্থী নির্বাচন থেকে ‘বাতিল’ হয়ে গেছেন—  সেসব ‘বাতিল’ প্রার্থীর ব্যালটে দেখা হবে অনুরা এবং সাজিথকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দে কত মানুষ ভোট দিয়েছেন। এই গণনা শেষে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীকে নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে দেখা যায় যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পান তখন পরবর্তীতে রানঅফ নির্বাচন হয়। এই রানঅফে প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যাদের মধ্যে পরবর্তীতে যে কোনো একজনকে ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিটি আলাদা।

এদিকে ভোট গণনার মধ্যেই শ্রীলঙ্কায় গতকাল দিবাগত রাতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ আট ঘণ্টার জন্য কারফিউ ঘোষণা করে। ‘জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা’ করে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। 

কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশটির বৈধ ১৭ মিলিয়ন (১ কোটি ৭০ লাখ) ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ গতকালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে রেকর্ড ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

 

সা/ই