শ্রীনগর চকবাজার সেতু নির্মাণে ধীরগতি : চলাচলে চরম ভোগান্তি, ঘটছে নানা দুর্ঘটনা
প্রকাশ : 2024-07-08 19:02:43১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
শ্রীনগর চকবার থেকে বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ড গামী রাস্তায় খালের ওপর নির্মানাধীন সেতুর কাজ চলছে ধীরগতিতে। নির্মাণ কাজ চলাকালে বিকল্প রাস্তাটি যথোপযুক্ত না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ধীরগতীর কারনে তা বিলম্বিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ
আর চরম আকার ধারণ করবে বলে স্থানীয়রা জানান । পূনঃ নির্মাণের জন্য সেতুটি ভাঙ্গার পর সঠিক বিকল্প রাস্তাটি না থাকায় ইতিমধ্যে ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শ্রীনগর-বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ড গামী রাস্তার উপর নির্মিত সাবেক সেতুটি ভাঙ্গা হয় দুই বছর পূর্বে । ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজ পুরানো সেতু ভাঙ্গার পূর্বে বিকল্প রাস্তাটি ভাল ভাবে তৈরী করেননি বলে অভিযোগ এলাকাবসীর। যে রাস্তাটি করা হয়েছে তা অনেক ঢালু , নিচু এবং অপ্রশ্ত। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাতো দুরের কথা সাধারণ পথচারীদের হেটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিকল্প এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অটোরিকশা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যাত্রী নিয়ে নানা দুর্ঘনায় পতিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতু নির্মাণে ইচ্ছে করেই ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার ঢিলেঢালা ভাবে কাজ করছেন। তাদেরকে কোন কথা বললে তারা রেগে যায়। আমরা দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রীজটি রিভাইজের জন্য আমাদের আরো অনেক সময় আছে। একটা ব্রীজ করতে গেলে অনেক কিছুই হয়। ব্রীজ ছিল অনেক বড় সেটা ছোট করা হয়েছে। এটাকে আরো ছোট করা দরকার ছিল। আমাদের হাতে এখনও এক বছর সময় আছে।
ধীরগতিতে সেতু নির্মাণ কাজ চলার ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মহিফুল ইসলাম বলেন, এই ব্রীজ করতে গিয়ে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত আমাদের কাজ চলমান ছিল। উত্তরাঞ্চলে বন্যা হওয়ায় শ্রমিকরা আসতে পারছে না। ঈদের পর শ্রমিকরা আসা শুরু করেছে। শ্রমিকরা আসলেই সেন্টারিংয়ের কাজ শুরু হবে। আশা করি এই বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।