শ্রীনগরে বহুল আলোচিত নারী কেলেঙ্কারির হোতা  স্বপন মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা  

প্রকাশ : 2025-06-26 10:33:26১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শ্রীনগরে বহুল আলোচিত নারী কেলেঙ্কারির হোতা  স্বপন মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা  

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বহুল আলোচিত নারী কেলেঙ্কারির হোতা স্বপন মেম্বারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন।   
ভুক্তভোগী নারী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ইউপি সদস্য স্বপনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জুন পর্ণোগ্রাফি আইনে ও ১৬ জুন ধর্ষণ মামলা করেন তিনি। এর পর থেকেই স্ব-পরিবারে পলাতক রয়েছে স্বপন মেম্বার। 

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ঝাপুটিয়া গ্রামের ফারুক দেওয়ানের সাথে  সেলিনার বিয়ে হয়। তিন বছরের মধ্য স্বামীর সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে  তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলার নোটিশ নিতে এসে পরিচয় হয় শ্রীনগর  ৬নং ওয়ার্ড আঃলীগের সভাপতি স্বপন মেম্বারের সাথে। সেলিনাকে মামলা না চালিয়ে মীমাংসার  জন্য  প্রস্তাব দেয় স্বপন মেম্বার। এরপর তার দোকানে বসে বিষয়টি ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় মীমাংসা করে দেন।  ঐ সময় টাকাসহ সেলিনাকে স্বপন মেম্বার তার ভাড়াটিয়া বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় বন্ধুর বউ সাজিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে দেন। পরদিন মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে নিয়ে স্বপন আদালতে যায় এবং  মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। পরে বাসায় এসে স্বপন জরুরী প্রয়োজনে দুইদিনের জন্য ধার চেয়ে  দেড়লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে।

এরপর স্ত্রী দাবি করে তার সাথে ঘর সংসার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী কৌশলে বাসা ছেড়ে লৌহজং এলাকায় চলে যায়। সেখানে খোঁজ নিয়ে ১০দিন পর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বপন মেম্বার পুনরায় ঐ নারীকে ষোলঘর এলাকায় এনে বাসা ভাড়া করে স্বামী হিসেবে সংসার শুরু করে। এসময় তিনি ৩ মাসের গর্ভবর্তী হলে স্বপন মেম্বার ঔষধ প্রয়োগ করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারীকে জোড়পূর্বক উলঙ্গ করে তার নগ্ন ছবি তুলে তাকে দেহ ব্যবসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সে রাজী না হওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং স্বপন তার নিজ ভাড়াটিয়া বাসায় আটক করে রাখে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর বাবা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন।  এর পরও স্বপন মেম্বার সেলিনাকে নানা রকম হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখালে উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী মহিলা আদালতের স্মরনাপন্ন হয়।

এ ঘটনায় বিজ্ঞ আাদলত ১৪ জুন পর্নো গ্রাফি আইনে এবং ১৬ জুন ধর্ষণ আইনে মামলা এফ আই আর করার নির্দেশ দেন শ্রীনগর থানাকে।

কা/আ