শ্রীনগরে পরিবেশ বিধ্বংসী শিষা গালানো কারখানা চলছে ছাড়পত্র বিহীন
প্রকাশ : 2024-07-07 14:17:29১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) শ্রীনগর উপজেলায় পরিবেশ বিধ্বংসী শিষা গলানো কারখানা চলছে ছাড়পত্র বিহীন। জনবসতিপূর্ন ও দু'তিন ফসলী জমির এলাকায় এসব শিষা গালানো কারখানা স্থাপনের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীরা কাশি শ্বাস কষ্ট সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক বৃন্দ। কৃষকরা মার খেয়ে যাচ্ছে ফসল,. উৎপাদনের ক্ষেত্রে ।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিক বার অর্থদন্ড আদায় করলে কারখানা গুলো সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে। কয়েক মাস যাবৎ
তাদের কার্যক্রম ফের শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিষা গালানোর পাশাপাশি এ-সব কারখানায় তামা, পিতল, সিলভার গালানো হয় বলে টোকাই এবং সিচকে চোরের উপদ্রব ও বেড়ে গেছে ।
২০২২ সালে ইউ, এন, ও প্রনব কুমার ঘোষ অভিযান চালিয়ে ষোলঘড়ের কারখানাটি ধ্বংস করে দেন। সম্প্রতি ঐ কারখানাটি সোরহাব আলী নামক জনৈক ব্যক্তি শ্রীনগর মুন্সী গন্জ সড়কের কল্লিগাও গ্রামে স্থাপন করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন৷। বাকী ৩ টি কারখানার অবস্থান হচ্ছে, শ্রীনগর তন্তর সড়কের বাড়ৈগাও নামক স্থানে একটি রুহুল ও অপরটি মাজেদ মিয়ার তত্ত্বাবধানে চলছে। চতুর্থ ভাট্টি কারখানাটি রয়েছে টুনিয়ামান্দ্রা সড়কের পাশে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এক সময় এ-সব ঢালাই কারখানা গুলো ডেমরা থানার বিলাঞ্চলে
ছিলো। ফসলী জমি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রশাসন জ্বালিয়ে পুরিয়ে ধ্বংস করে দেয়। এরপর থেকেই সোরহাব আলীর নেতৃত্বে শ্রীনগরের বিভিন্ন ফসলের মাঠ ও জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠে পরিবেশ বিধ্বংসী এ-সব অবৈধ কারখানা।
এ বিষয়ে সোরহাব আলীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এমনে ব্যাবসা করতে আহি নাই। জাগামত দিয়া লাইনঘাট বাইন্ধা বইছি। আপনে অহন যান। ছবি ছুবি তুইল্লেননা ।
পরিবেশ বিধ্বংসী এ-সব অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে, মোশারেফ হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দু'চার দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান