শৈত্যপ্রবাহে বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশ : 2024-01-15 17:54:07১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শৈত্যপ্রবাহে বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

বগুড়ার আদমদীঘিতে গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহের ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহ জুড়ে ঠিকমত দেখা মেলেনি সুর্যের আলো। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘিতে মানুষের রোগ বালাই যেমনটা বেড়েছে তেমনি,কুয়াশায় রবিশস্যের ক্ষেত ও বীজতলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া এ অবস্থায় চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের। বর্তমান আবহাওয়া ও শৈতপ্রবাহের  কারনে কৃষকরা বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় দুই হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ এবং পাঁচ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ, , ৩০ হেক্টর জমিতে গম, ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি, ৫০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ, ২৫ হেক্টর জমিতে রসুন, ২৭ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল, ৫ হেক্টর জমিতে ভুট্ট্রা,৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ এবং এবছর ১২ হাজার ৪শ’ ৫২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ধান কাটা মাড়াই শেষে ইরি-বোরো আবাদের ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে কৃষকরা। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইরি-বোরো বীজ বপন করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের প্রভাবে বীজতলা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। এভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত চলতে থাকলে আলুর ক্ষেতে মড়ক ধরার সম্ভাবনা,শীতকালীন সবজি নষ্ট সহ বীজতলা ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের কারনে কৃষকের সদ্য রোপনকৃত বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা সদরের ডালম্বা গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান, কেশরতা গ্রামের কৃষক হেদায়েতুল ইসলাম,নশরতপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম রব্বানী,চাঁপাপুর ইউনিয়নের বরিয়াবার্তা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান,কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারনে তাদের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে তারা তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানায়,বর্তমান শৈতপ্রবাহের কারনে বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তার পরেও ঘন কুয়াশা কিংবা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে কৃষকদের বীজতলায় সাদা পলিথিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। 

 

সান