শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা আজ

প্রকাশ : 2022-09-06 09:51:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা আজ

গত তেরো বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা বাংলাদেশ সফরে গেলে প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার হাসিনার ২০১৭ সালের ভারত সফরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একই ভাবে হাজির ছিলেন বিমানবন্দরে। তবে সোমবার শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পাঠানো হল রেল এবং বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোসকে। প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকারের এক জন সিনিয়র মন্ত্রীও তো এই কাজ করত েপারতেন? গত কাল সাক্ষাৎকারে হাসিনা সংখ্যালঘু নিপীড়ন থেকে তিস্তা — বিভিন্ন বিষয়ে ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। চিনের সঙ্গে ভারসাম্যের কূটনীতির কথাও বলেছেন। ভারত সফরের ঠিক আগের দিন বাংলাদেশে চিনের গড়ে দেওয়া একটি সেতু উদ্বোধন করে এসেছেন হাসিনা। তবে কি....?

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা— এ সবের সঙ্গে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার আদৌ সম্পর্ক নেই। সেখানে তাঁকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। গানে গানে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা বলছেন, “বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে তার আগে জানতে হবে, সফরকারী রাষ্ট্রনেতাকে বাংলাদেশ যেমন বিমানবন্দরেই রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানায়, আমরা জানাই আমাদের রাষ্ট্রপতি ভবনের চত্বরে, যা অনুষ্ঠিত হবে কাল।” ওই কর্তার মতে, হাসিনার এই সফর যেমন যোগাযোগ, বাণিজ্যের মতো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দিকে ভোট এগিয়ে আসা বাংলাদেশের ঘরোয়া রাজনীতিতেও শেখ হাসিনার কাছে এই সফরের তাৎপর্য বহুমাত্রিক। আগামী কাল শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক স্তরে ঢাকা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। যৌথ বিবৃতিতেও যাতে বিষয়গুলি রাখা যায়, তারা তা চাইছে।

বিতর্ক উঠেছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর না আসা নিয়েও। শেষ মুহূর্তে হাসিনার প্রতিনিধি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। দু'সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামে করা তাঁর মন্তব্যের জেরে বাংলাদেশে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য 'যা যা করার তা করতে' তিনি ভারতে বলে এসেছেন। এই মন্তব্যে ভারতও অস্বস্তিতে পড়ে। শেষ মুহূর্তে তাঁর বাদ পড়ার সঙ্গে ওই বিতর্কের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মোমেনের মন্ত্রক জানিয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়ায় দিল্লি যেতে পারেননি বর্ষীয়ান মন্ত্রী।”

সূত্রের খবর, ঢাকার পক্ষ থেকে শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানানো হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর অশোধিত তেল আমদানির প্রশ্নে বাংলাদেশও সমস্যার মুখে। এর আগেও এক বার ঢাকাকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, মোদী-হাসিনা বৈঠকে তা উঠে আসতে পারে বলে খবর। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত তেল কিনেছে ভারত। ঢাকা চায় রাশিয়ার তেল ভারত থেকে কিনতে।