শুভ জন্মদিন ঋত্বিক রোশন

প্রকাশ : 2024-01-10 11:41:15১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শুভ জন্মদিন ঋত্বিক রোশন

আজ হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan) জন্মদিন। জীবনের হাফ সেঞ্চুরিতে দাঁড়িয়ে বলিউড অভিনেতা। 

জীবন খাতায় পেরলো পঞ্চাশটা বসন্ত, তাতে কী, হৃত্বিক চির সবুজ অভিনেতা। বয়সে অনেক ছোট সাবা আজাদের সঙ্গে প্রেম, সোচ্চারে সেই প্রেমের প্রকাশ, বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তন স্ত্রী সুজেন খানের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ম করে সময় কাটানো, ঘুরতে যাওয়া হোক, এই পঞ্চাশেও জিমে গিয়ে শুধু ঘাম ঝরানো নয়, গ্রিক দেবতার মতো এইট প্যাক অ্যাব ধরে রাখা, এসব তো একজনের পক্ষেই সম্ভব। মানুষটার নাম হৃত্বিক রোশন।

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক রোশনের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ঋত্বিকের বাবা রাকেশ রোশন ভারতের একজন নামকরা চলচ্চিত্র পরিচালক এবং মা পিঙ্কি রোশন গৃহিণী। ২০০০ সালে ঋত্বিক সুজান খানকে বিয়ে করেন। ১৪ বছর সংসার করার পর ২০১৪ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। ঋত্বিক-সুজান দম্পতির দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

আশির দশকেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় ছোট্ট ঋত্বিকের। সে সময়ে বেশ কয়েকটি সিনেমাতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। বাবার পরিচালিত চারটি সিনেমাতে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। এর পর ২০০০ সালে রূপালী পর্দায় আবির্ভূত হন নায়ক হিসেবে। বাবা রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমাতে অভিনয় করেন ঋত্বিক।

অভিষেক সিনেমাতে ঋত্বিকের নায়িকা ছিলেন নবাগতা আমিশা প্যাটেল। এটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য অর্জন করে। অভিষেক সিনেমাতেই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারসহ ঋত্বিক জিতে নেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। ওই বছরই টেররিজম ড্রামা ‘ফিজা’ এবং ২০০১ সালে এনসেম্বল মেলোড্রামা ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমা দুটি তাকে বিশেষ খ্যাতি অর্জনে সাহায্য করে। কিন্তু পরের দুই বছরে তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এর পর ২০০৩ সালে বাবা রাকেশ রোশন পরিচালিত কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র ‘কয়ি মিল গায়া’ দিয়ে আবারও তিনি সফলতার দেখা পান। জিতে নেন ফিল্ম ফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। পরবর্তীতে এই সিনেমার তিনটি সিক্যুয়েল ‘কৃষ’, ‘কৃষ টু’ ও ‘কৃষ থ্রি’ নির্মাণ করেন নির্মাতা রাকেশ রোশন। সবকটিতেই নায়ক ঋত্বিক রোশন। এর পরও তিনি ‘ধুম টু’, ‘গুজারিশ’, ‘জোধা আকবর’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘অগ্নিপথ’ এবং ‘ব্যাং ব্যাং’ এর মতো ব্যবসাসফল সিনেমাতে অভিনয় করেন।হৃতিক রোশনের কাজ দেখে বোঝা যায় তিনি অভিনয়ে কতটা ভালো। “ধুম ২” এবং “যোধা আকবর” এর মতো চলচ্চিত্রে তীব্র এবং আবেগপূর্ণ ভূমিকা থেকে শুরু করে “গুজারিশ”-এ তীক্ষ্ণ এবং আকর্ষক চরিত্রে হৃতিক প্রমাণ করেছেন যে তিনি নির্বিঘ্নে ঘরানার মধ্যে পরিবর্তন করতে পারেন। প্রতিটি ভূমিকায় গভীরতা এবং সত্যতা আনার ক্ষমতা তাকে সমালোচক এবং দর্শক উভয়ের কাছ থেকে প্রশংসিত করেছিল।

মঞ্চেও অভিনয় করেছেন ঋত্বিক রোশন। ২০১১ সালে ‘জাস্ট ড্যান্স’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি প্রথম টেলিভিশনে উপস্থিত হন। এই অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় টেলিভিশনের সর্বাধিক পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র তারকা। অভিনয়ের পাশাপাশি ঋত্বিক একাধিক দাতব্য কাজের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। সেই সঙ্গে একাধিক ব্র্যান্ড ও উৎপাদিত সামগ্রীর হয়ে বিজ্ঞাপন করেছেন এবং নিজস্ব ক্লোদিং লাইনও সর্বসমক্ষে এনেছেন।

অভিনয় ছাড়াও দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তিনি সারা ভারতজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। যার ঝুলিতে আছে বেশ কয়েকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ আরও অনেক সম্মাননা।বলিউডের এই গ্রীক গড, যেমন স্নেহের সাথে পরিচিত, তিনি শুধুমাত্র চলচ্চিত্র শিল্পে নিজের জন্য একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেননি কিন্তু অভিনয় এবং নৃত্যে শ্রেষ্ঠত্বের মানগুলিকেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

 

সা/ই