শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় সাড়ে ২২ লাখ ডলারের সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ

প্রকাশ : 2023-08-27 14:38:31১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় সাড়ে ২২ লাখ ডলারের সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ

বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সামগ্রী ও সেবা সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনিসেফ জরুরিভিত্তিতে ২২ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের প্রয়োজনীয় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট এবং পেশাদারদের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি খাতে অন্যান্য সামগ্রী ও সেবা দেবে।

রবিবার (২৭ আগস্ট) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ইউনিসেফ।

ইউনিসেফ জানায়, ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ২১ হাজারের বেশি শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবরে বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি সহায়তা জোরদার করছে ইউনিসেফ। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখন দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যার প্রায় ২০ শতাংশই হলো ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক অধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংকট বাড়তে থাকায় আরও একবার এখানকার শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির অগ্রভাগে রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য একটি সময়োপযোগী ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এসময়ে জনসাধারণের প্রয়োজন তাদের বাড়িঘরে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং মশা তাড়ানোর জন্য সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা পরীক্ষার কিট, চিকিৎসা সামগ্রী, মশারি সরবরাহ করছি এবং আমরা মশার প্রজনন স্থানগুলো নির্মূল করতে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।’

জনসমাবেশে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রচার করার মাধ্যমে ইউনিসেফ গত এক মাসে ৫ কোটির বেশি মানুষের কাছে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা সম্পর্কিত বার্তা পৌঁছাতে সরকারকে সহায়তা করেছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি। এ ছাড়াও ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সরবরাহ; যা দিয়ে ১৩ হাজার ৪০০ পরীক্ষা করা যায়, কর্মীদের সক্ষমতা তৈরি, কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং নির্বাচিত এলাকায় মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার করার প্রচারণার মতো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে ইউনিসেফ পার্টনারদের (অংশীদারদের) সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।