শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নিপুণ

প্রকাশ : 2022-11-22 11:11:15১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নিপুণ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলা হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল [আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন] গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ‘আপাতত নিপুণের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার [২১ নভেম্বর] প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অন্যদিকে নিপুণের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জায়েদ খান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন জানান নিপুণ আক্তার। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদেশ দেন আদালত।


চেম্বার আদালত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইসঙ্গে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিপুন আক্তারের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও আদালত তার আদেশে জানিয়েছিলেন।

এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। তবে আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে নিপুণের বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত অবমাননার মামলা করেন জায়েদ খান।

এদিকে জায়েদ খানের রিট মামলায় তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়ে গত ২ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। পরে নিপুণ আক্তার আপিল দায়ের করলে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও স্থিতিবস্থা জারি করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রেরণ করেন চেম্বার জজ আদালত।  

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড। এফডিসিতে ডাকা এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করা হয়। ফলে তার পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চিত্রনায়িকা নিপুণকে এ পদে জয়ী দেখানো হয়।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এফডিসিতে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য পদে চুন্নুর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে বসে আপিল বোর্ড। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন ও বি এইচ নিশান, অভিযোগকারী নিপুণ।