শিমলার মিষ্টি খুব জনপ্রিয়
প্রকাশ : 2022-02-10 20:07:14১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মিষ্টি খায় না এমন মানুষ সমাজে খুবই কম। কম-বেশি সবাই মিষ্টি পছন্দ করে। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী দই-মিষ্টির সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। সেই হিসেবে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খুব মজাদার দই-মিষ্টি তৈরি করে দোকানদাররা। বগুড়া জেলার পানি ভালো হওয়ায় এই পানিতে দই-মিষ্টি ভালো হয়। তা আবার যদি পিওর ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয় তাহলে খেতে আরো বেশি মজার।
নন্দীগ্রাম উপজেলার শিমলা বাজারের দই-মিষ্টির দোকানদাররা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নতমানের দই-মিষ্টি তৈরি করতে অনেক পারদর্শি। বিশেষ করে শিমলা বাজারের পন্স মিষ্টির সুনাম দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে আছে। মিষ্টি খায় না এমন মানুষ যদি একবার শিমলার পন্স মিষ্টি খায় তাহলে বারবার খেতে চাইবে। অনেক ক্রেতা-বিক্রেতারা এমন কথা প্রায়ই বলে থাকে। বাস্তবে খেয়েও তাই মনে হয়েছে। শিমলা বাজারের সাকিব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের প্রোপাইটর শাহিন আলম জানান, আমরা নিজেরাই ছানা কাটি এবং পিওর ছানা ও ময়দা কম দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে আসছি। সেকারণে আমাদের মিষ্টির চাহিদা অনেক বেশি।
মিষ্টির কারিগর রাশেদুল ইসলাম, রাব্বি মিয়া ও সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা গুণগত মানের মিষ্টি তৈরি করে থাকি। তাই আমাদের তৈরিকৃত মিষ্টির চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। মিষ্টি তৈরিতে পিওর ছানার সাথে ময়দা একেবারেই কম দেই। এ কারণে আমাদের তৈরিকৃত মিষ্টি অনেক ভালো হয়। যা ক্রেতারা খেয়ে অনেক বেশি মজা পায়। সেখানে ১৫০ টাকা কেজি দরে চমচম, ১৮০ টাকা কেজি দরে পন্স মিষ্টি, ১৪০ টাকা কেজি দরে কালোজাম, ৪০০ টাকা কেজি দরে দুধরাজ পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা শিমলা বাজারে এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম সদরের বাসিন্দা অসিম কুমার রায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শিমলা বাজারের মিষ্টি খুব ভালো মানের। খেতেও খুব ভালো লাগে। তাই মাঝে মধ্যেই শিমলা বাজারে গিয়ে মিষ্টি খাই এবং কিনে আনি। আশপাশের জেলা ও উপজেলার লোকমুখে শিমলা বাজারের মিষ্টির প্রশংসার কথা শোনা যায়।