শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা করায় শিক্ষক বরখাস্ত
প্রকাশ : 2024-01-03 17:14:25১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
চাঁদপুরের হাইমচরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় সালাউদ্দিন নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
বরখাস্তকৃত ওই শিক্ষক হাইমচর উপজেলার ৫৯ নম্বর গন্ডারামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা গেছে, শিক্ষক সালাউদ্দিন গত কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন প্রার্থীর বিভিন্ন ছবি ও নিউজ লিংক শেয়ার করেন। এ ছাড়া এলাকায় নৌকার পক্ষে কাজ করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে ২ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা ইয়াসমিন মেহেরের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, সহকারী শিক্ষক সালাউদ্দিন মিয়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। যা সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি পরিপন্থি। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ২(ই) ও ৩(খ) অনুযায়ী তাকে অভিযুক্ত করা হয়। একই বিধিমালার বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
হাইমচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরউজ্জামান খান বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। সেটি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়। একজন সরকারি শিক্ষক হিসেবে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।’
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা ইয়াসমিন মেহের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আমাদের নীতিমালা রয়েছে। তা ছাড়া নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি কর্মচারী হিসেবে তিনি এটি করতে পারেন না। এ বিষয়টি আমাদের নজরে আনা হলে আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এরপর বিভাগীয় মামলা করে শুনানির মাধ্যমে জবাব নেবো।’
নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক সালাহউদ্দিন বলেন, ‘২০২০ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রাক্কালে আমার এলাকায় বর্ডার পোলে উপজেলা চেয়ারম্যান আগমনকালে উপস্থিত উৎসুক জনতা তাকে স্বাগত জানান। ওই সময় আমি চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে ছিলাম। আমার প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ওই সময়ের ছবিটি মেসেঞ্জারে আমাকে প্রেরণ করে হুমকি দেন। সেই ২০২০ সালের ছবিটি বর্তমান ছবি বলে নাসির মাস্টার ডিপিওকে প্রেরণ করেন। আমি নাকি গত ১ জানুয়ারি নৌকা মার্কার মিছিল করি। আসলে আমি কোনও মিছিলে অংশগ্রহণ করিনি। আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রমাত্র। আমি ডা. দীপু মনি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে পছন্দ করি।’
সান