শহীদ আসাদ মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন
প্রকাশ : 2025-01-20 10:34:40১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘তার আত্মত্যাগ আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশের জন্য নিজের দায়িত্ব পালন করতে এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে। এর প্রমাণ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান। শহিদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না।’
২০ জানুয়ারি ‘শহীদ আসাদ দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শহীদ আসাদ দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন ও দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রায় রূপ নেয়। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। শহিদ আসাদের এ আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।
স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টা শহীদ আসাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শহীদ আসাদসহ সব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সা/ই