শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, ১৩ নারী-শিশু নিহত
প্রকাশ : 2024-03-10 12:30:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। নিহতদের সবাই নারী ও শিশু বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে এবং রাফাহতে একটি আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করেছে। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করার ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং সিভিল ডিফেন্স ক্রুরা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে কাজ করছে। মৃতের সংখ্যা এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেইর আল-বালাহ শহরের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এর আগেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল।
এদিকে গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরায়েল বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী হামাদের আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
ভুক্তভুগি একজন বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় কোনও নিরাপদ অঞ্চল নেই। ইসরায়েলিরা মিথ্যা বলছে। আমাদের বলা হয়েছিল গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ দিকে নিরাপদ। বাধ্য হয়ে আমরা এখানে আশ্রয় নিয়েছি। আমরা সবাই বেসামরিক।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। যা পুনর্গঠনে লাগবে ৯ হাজার কোটি মার্কিন ডলার । জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
সা/ই