শত বছরের দুর্ভোগ দুই উপজেলাবাসীর

প্রকাশ : 2025-01-19 17:34:43১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শত বছরের দুর্ভোগ দুই উপজেলাবাসীর

 বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী চাঁপাপুর ইউনিয়ন সদরের নাগর নদের উপড় মাত্র একশ’ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুড়তে হয় পাশাপাশি দুই উপজেলার লাখো মানুষকে। পাথরঘাটা নামক স্থানে জরুরী প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের চাটাইয়ের সাঁকো দিয়ে। সেটিও প্রতি বছর আড়াই/তিন লাখ টাকা খরচে নির্মান করতে নিজেদের মধ্যে চাঁদা-ভাঙ্গন করে। এর ফলে নির্মান সামগ্রী এবং ধান ও সরিষাসহ অন্যসব কৃষিপণ্য পরিবহন করতে ঘুড়তে হয় ১৫ কিলোমিটার পথ। সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের পুর্ব সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত নাগর নদের অপর পাড় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায়। ওই উপজেলার পশ্চিমাংশের ছয় গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল চাঁপাপুর হাট-বাজার এবং স্কুল-কলেজের উপড়। একই ভাবে চাঁপাপুরের কয়েক গ্রামের মানুষের আবাদী জমি নন্দীগ্রাম উপজেলার ওই অংশে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার কষ্ট সীমাহীন। শত বছরের এই দুর্ভোগ দুর করতে প্রায় ২০ বছর পুর্বে নন্দীগ্রাম উপজেলার পাথরঘাটা প্রান্ত থেকে এপারে চাঁপাপুর বাজার পর্যন্ত ব্রিজ নির্মান করার জন্য ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। তার পর ওই পর্যন্তই শেষ, নানা জটিলতায় ব্রিজটি আর নির্মান হয়নি অদ্যবধি। প্রতি বছর জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নির্বাচিত হবার পরই ব্রিজ নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তুনির্বাচিত হবার পর ভুলে যায় ভোটার তথা জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি। জনগুরুত্বপুর্ণ এই বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সমস্যাটি ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আমার এই দপ্তর থেকে কোন প্রকল্প গ্রহনের আইডি বা নথী মেলেনি। তবে পাশের নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে প্রকল্প গ্রহন এবং নির্মান কাজের ভিত্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে মামলাসহ নানা জটিলতায় নির্মান কাজ মুখ থুবরে পড়ে বলে জানতে পেরেছি।