লৌহজংয়ে তাবিজের কথা বলে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা
প্রকাশ : 2024-01-22 12:05:38১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে তাবিজ দেওয়ার কথা বলে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে নির্যাতিত কিশোরীর (১৫) বাবা অভিযুক্ত তরুণ তালুকদারের (৩৮) বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের কালুরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরীর দিনমজুর বাবা গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন স্বপরিবারে কালুরগাঁও গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন। ঘটনার দিন কাজ শেষে বাড়িতে এসে জানতে পারেন বাড়ির পাশের দোকানদার আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে তরুণ তালুকদার আমার কিশোরী মেয়ে (১৫) ও আমার ভাইয়ের ছেলের বউয়ের (১৮) সাথে অপকর্ম করেছে৷
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, অভিযুক্ত তরুণ তালুকদারকে মামা বলে ডাকি। তাবিজ ও চিরুণী পড়া এনে দেয়ার কথা বলে দোকানের সামনে ডেকে আনে। এর পর আমার মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ আমাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। জোরাজুরি করার পর আমাকে বেঁধে আমার ভাবীকে ডেকে নিয়ে আসে। তার সাথেও খারাপ কিছু করতে শরীর স্পর্শ করে৷ ভুক্তভোগ কিশোরীর ভাবী (১৮) বলেন, আমাকে তরুণ মামা দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে দোকানের ভেতর নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ সেখানে গিয়ে আমার ননদকে বিবস্ত্র ও মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পাই। তরুণ তালুকদার খারাপ উদ্দেশ্যে আমাকে জাপ্টে ধরে৷
ওই নারী আরও জানান, তার ননদ এক ছেলেকে পছন্দ করে, কিন্তু ছেলে তাকে পছন্দ করে না৷ ওই ছেলে কিশোরীকে পছন্দ করবে এ আশ্বাস দিয়ে তরুণের কাছে তাবিজ আছে বলে মেয়েটিকে অজু-গোছল করে দোকানের ভিতর নিয়ে যায়। বিবস্ত্র করে কাপড় লুকিয়ে রাখে৷ আমাকে ডেকে নিয়ে চেঁচামেচি করলে সংসার ভাঙার ভয় দেখিয়ে আমাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেলে তরুণের হাতে কামড় দেই ও চিৎকার করলে তরুণ পালিয়ে যায়৷
এলাকাবাসীরা জানান, তরুণ তালুকদার এর আগেও এমন অনেক অপকর্ম করেছে। তবে ভুক্তভোগীরা লজ্জায় ও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি৷
এ বিষয়ে গাওদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোশারফ হোসেন বেপারী বলেন, ঘটনার একদিন পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, এ গ্রামে এর আগেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা এলাকার বড় এক নেতার আশ্রয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে৷ গত বছরও এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়৷
ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে ভুক্তভোগী পরিবার সালিশের জন্য এসেছিল। আমি তাদের নারী নির্যাতনের বিচার আমার পরিষদে হয় না বলে থানায় যেতে বলেছি৷
লৌহজং থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, অভিযুক্তকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকের চেষ্টা চলছে।
সান