রোহিঙ্গানেতা খুনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে: মির্জা ফখরুল
প্রকাশ : 2021-09-30 20:12:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে বুধবার রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে মুহিবুল্লাহ নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা নেতা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার আরও একটি কু-নজীর। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ, যিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরানোর জন্য অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন, তাকে গুলি করে বর্বরোচিত কায়দায় হত্যার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রোহিঙ্গা শিবিরে তাকে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ এই সরকার দেশে আশ্রিত শরণার্থীদেরকে নিরাপত্তা দিতেও সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যে জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই, আইন-শৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই, তার নিকৃষ্ট প্রমাণ হলো উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা। এই সরকারের শাসনামলে অপরাধ করেও বিচার হয় না, কিংবা বিচার হলেও সরকারি আনুকুল্যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় বলেই দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ করতে উৎসাহী হয়।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ যদি সংরক্ষিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন, তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ও মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীন, তা সহজেই অনুমেয়। নিশিরাতের ভোট ডাকাতির সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, অদক্ষতায় সর্বক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য এবং নিরাপত্তাহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে জনগণ, বিদেশি নাগরিক কিংবা শরণার্থী-কারো জীবনেরই কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে মানুষ দিশেহারা। জনগণ চায় এই অবস্থার পরিবর্তন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান-মর্যাদা যেমন ভুলুণ্ঠিত হবে, তেমনি জানমালেরও কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।
আমি রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।