রাশিয়ার সাথে জরুরি বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন
প্রকাশ : 2022-02-14 10:38:32১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিরসনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, সীমান্তে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তা উপেক্ষা করেছে রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিমিত্র কুলেবা জানান, ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) সদস্যরা নিরাপত্তা ইস্যুতে ভিয়েনা চুক্তিতে সই করেছে। ওই সংস্থার সদস্য রাশিয়াও। সেজন্য ভিয়েনা চুক্তি অনুসারে ইউক্রেন শুক্রবার রাশিয়ার কাছে সীমান্তে সেনা মোতায়েন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দাবি করে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া যদি ওএসসিই এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাহলে তাদের অবশ্যই উত্তেজনা নিরসনে সামরিক স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে এবং সবার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করে কার্যত দেশটিকে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের তিনদিকে অর্থাৎ বেলারুশ, ক্রিমিয়া ও পশ্চিম রাশিয়ায় ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে মস্কো। তবে দেশটিতে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়ে আসছে রাশিয়া।
এদিকে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আলাপ করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দুই নেতা কূটনৈতিক মাধ্যমে সংকট নিরসনে সম্মত হয়েছেন।
তবে ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে। যেকোনো মুহূর্তে রাশিয়া দেশটিতে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ১২টিরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ দূতাবাস কর্মীদেরও সরিয়ে নিয়েছে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘ভীতি’ ছড়ানোর সমালোচনা করেছেন। তার ভাষ্য, বরং রাশিয়াই হামলার পরিকল্পনা করছে।