রাঙ্গামাটিতে শোভাযাত্রার মাধ্যমে বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু
প্রকাশ : 2023-04-10 14:52:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আনন্দ ও উন্মাদনায় রাঙ্গামাটিতে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বর্ণিল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে মূলত বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পাহাড়িরা এতে অংশ নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) শোভাযাত্রায় বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি তুলে ধরেন। এই শোভাযাত্রা থেকে তারা বৈসাবির শুভেচ্ছা সবার কাছে পৌঁছে দেন। উৎসবে নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে বিভিন্ন ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হন অংশগ্রহণকারীরা।
এর আগে সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
রাঙ্গামাটি বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এতে শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা, লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি শিশির চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুসুম চাকমা, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতিয়ারসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন।
চুক্তি সইয়ের ২৫ বছর পরও স্বাভাবিকভাবে উৎসব পালন করতে না পারার অভিযোগ জানিয়ে সন্তু লারমা বলেন, চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন হলে মানুষ ফিরে পাবে নতুন উদ্যম, পাহাড়ের মানুষ উজ্জীবিত হবে, নতুন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারবে, উৎসবে যোগ দিতে পারবে।
বক্তারা দেশবাসীকে বর্ষবরণের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংস্কৃতি রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সেইসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সংগ্রামে সবাইকে মাঠে থাকতে হবে। আনন্দের উচ্ছ্বাসের এই সময়েও উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে উৎসব পালন করতে হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এসময় রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে পাহাড়িদের ঐহিত্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।