যৌনরোগের ভয়াবহতা চরম পর্যায়ে, জাতিসংঘের সতর্কবার্তায় ৪ এসটিডি
প্রকাশ : 2024-05-25 10:49:48১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী যৌন রোগের ভয়াবহতা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নতুন প্রতিবেদন শঙ্কা বাড়াচ্ছে। এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস এবং যৌন সম্পর্কের সময় সংক্রামিত এসটিআই/এসটিডি-সহ এসব রোগে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ প্রতি বছর মারা যাচ্ছে। শুধুমাত্র সিফিলিসে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ সংক্রামিত হচ্ছে। খবর এনডিটিভি।
যৌনবাহিত রোগের মধ্যে শুধুমাত্র সিফিলিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ২০২২ সালে বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা এবং আফ্রিকায় এই রোগ ভয়াবহ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। এটি বিশেষ করে উদ্বেগজনক হলেও সিফিলিস নিরাময়যোগ্য। তবে বিশ্বসংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসব রোগ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা ও সরঞ্জাম আমাদের কাছে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা আরও জোরালো করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া সিফিলিস বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সৌভাগ্যবশত, রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবাগুলোর সহজলভ্যতার কারণে আমরা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এমন সব মহামারি আকারে জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি হিসেবে প্রকাশ পাওয়ার আগে আমাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম উদ্ভাবন করতে হবে।'
এক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের ওপর আরও গভীরভাবে নজর রাখতে হবে।
ভয়াবহ এসটিডি
যৌনবাহিত চারটি এসটিডি যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া এবং ট্রাইকোমোনিয়াসিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নতুনভাবে সংক্রামিত হচ্ছে। এগুলো চিকিত্সাযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য।
সিফিলিস: সিফিলিসের এমন ব্যাপকতার পেছনে আংশিকভাবে দায়ী কোভিড মহামারির ফলে সৃষ্ট সংকটাপন্ন অবস্থা।
গনোরিয়ার ব্যাপকতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি যথাযথ ওষুধে আক্রান্ত ব্যক্তি সেরে উঠেন।
ভাইরাল হেপাটাইটিস: চিকিৎসা সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও হেপাটাইটিস বি এবং সি-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
এইচআইভি: যদিও নতুন ধরনের এইচআইভি-এর সংক্রমণ কিছুটা কমছে, তবে এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই বললেই চলে । উচ্চ-ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এবং এইচআইভি-আক্রান্ত মানুষে মৃত্যুর ঘটনাও উল্লেখযোগ্যহারে বড়ছে।হৃদয়বিদারক ঘটনা হচ্ছে শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।