যুবলীগের ওয়েবসাইট-মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন
প্রকাশ : 2022-11-12 11:00:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের তথ্যপ্রযুক্তির সংযোজন দেখে প্রশংসা করেন।
তিনি পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ ও সব অঙ্গ সংগঠনের জন্য অ্যাপ তৈরির নির্দেশ দেন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুবলীগের সমাবেশে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে অবহিত করেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম খান অনিক, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। গ্রাম থেকে বসে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে যোগাযোগ করতে পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে সজিব ওয়াজেদ জয় ও আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে। আজ যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খানের নেতৃত্বে যুবলীগের অনিক, এলিট ও সৈকত যুবলীগকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। আমি এ উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।
অ্যাপ ও ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ সংগঠনের সারা দেশের কর্মকাণ্ড, সংগঠনের জনশক্তি, তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগাযোগ, কর্মীদের ডাকা সংরক্ষণ করা হবে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ভিডিও-অডিও বার্তা, নোটিশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও সারা দেশের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আপলোড করতে পারবে। সারা দেশের নিবন্ধিত সদস্যদের ডাটা থাকবে। যে কোনো কর্মী উপজেলা, জেলা শাখার অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা বা গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে পারবেন। শুধুমাত্র অভিযোগ বক্স সভাপতি নিজে তদারকি করবেন।
একই প্রসঙ্গে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপির সময় বাংলাদেশকে বলা হতো ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড অব টেরোরিজম’। সেখান থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এখন বলা হচ্ছে ‘নেক্সট এশিয়ান টাইগার’। উন্নয়নের পুরোটাই নেতৃত্বের দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্ব নেতাদের চোখে উন্নয়নের মডেল।