যশোরে ভোর থেকে ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
প্রকাশ : 2024-01-18 12:17:38১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৫টা থেকে যশোরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শীতের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি যেমন শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি ছেদ পড়েছে কর্মজীবী মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে। রেকর্ড করা হয়েছে ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি ।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাটির আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এদিন যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চার বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি , আরও কমতে পারে দেশের তাপমাত্রা
গত কয়েক দিনের তীব্র শীতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষেরা। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে অনেককে। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূলদের জন্য ৬১ হাজার কম্বল বরাদ্দ ছিল যার ৫৫ হাজার কম্বল ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম এ বছর শুরু হয়নি বললেই চলে। জেলায় তেমন কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল বা দরিদ্রদের জন্য কম্বল বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
কুড়িগ্রামে প্রাথমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শৈত্যপ্রবাহের কারণে। কিন্তু যশোরের ছাত্রছাত্রীদের যেতে হচ্ছে কোচিং ক্লাসের জন্য। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শীতে বাইরে চলাচল করা যাচ্ছে না। তারপরও ভোর থেকে আবার বৃষ্টি পড়ছে। জনজীবন বিচ্ছিন্ন হওয়ার মত একটা অবস্থা বিরাজ করছে। এরপরেও আমাদের কোচিং প্রাইভেট চালু আছে তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বেরিয়েছি।’
সবাই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চেষ্টা করছে। জেলা ত্রাণ ও পুর্বাবাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, জেলার অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬১ হাজার কম্বল বরাদ্দ ছিলো তার মধ্যে ৫৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৭৫ হাজার কম্বলের চাহিদার কথা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
সা/ই