মেকআপ দেখালে পর্দায় গিয়ে দেখান, ভোটের মাঠে দেখানোর দরকার নাই
প্রকাশ : 2022-01-31 11:59:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন হয়ে গেল শুক্রবার। এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদ সদস্যপদে প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে অভিনেত্রী পরীমনির নাম। কিন্তু তালিকায় নাম থাকলেও ভোটের দিন ছিলেন না, এফডিসিতে যাননি তিনি। তাই নিজের ভোটও দেওয়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। নির্বাচনী ফলাফলেও পরাজিত হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৯। তবে পরীমনি জানিয়েছেন, তিনি তো ভোটই করেননি। তাই ভোটে জেতা আর হারার কী আছে।
এ ব্যাপারে পরীমনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল না প্রার্থী হওয়ার। তা ছাড়া আমি তো নাচতে নাচতে প্রার্থী হতে যাইনি। সবাই বলল, তাই নমিনেশন কাগজে স্বাক্ষর করে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু শরীর খারাপ থাকার কারণে ভোট করতে চাইনি। আমি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম ভোট করছি না। শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য এই প্যানেলের একজনকে বলে দিয়েছিলাম। তিনি কাজটি করেননি। এ ব্যাপারে আমার কোনো দোষ নেই।’
তবে কয়েক দিন হলো কিছুটা সুস্থ হওয়ার কারণে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ দেখে আর যেতে সাহস করেননি পরীমনি।
বলেন, ‘সকালে উঠে টেলিভিশনের খবর ও ফেসবুকে নির্বাচনী ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি চমকে গেছি। আমি রীতিমতো ভয় পেয়েছি। ছবিতে দেখলাম এই করোনার মধ্যে কোনো স্বাস্থ্যবিধিই মানা হচ্ছে না। কারও মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব নেই। সবাই গাদাগাদি করে আড্ডা মারছেন, জটলা করছেন। গায়ে লেগে লেগে ভোট দিতে কেন্দ্রে ঢুকছেন। কী ভয়ংকর পরিবেশ।’
কিছুটা হতাশার সুরে এই নায়িকা জানালেন মুখে মাস্ক নেই। মনে হচ্ছে মেকআপ করা চেহারা দেখানোর জন্য মাস্ক রাখেননি। পরী বলেন, ‘মেকআপ দেখালে পর্দায় গিয়ে দেখান। ভোটের মাঠে তো দেখানোর দরকার নাই। আগে জীবন নাকি আগে চেহারা দেখানো নাকি আগে ভোট? ইলেকশনের মাঠ দেখে আমি পুরাই হতাশ।’
এই তারকা আরও বলেন, ‘আমার জীবন, আমার অনাগত সন্তানের জীবন আমার কাছে অমূল্য সম্পদ। সুতরাং এমন পরিবেশে ভোট দিতে সেখানে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চাইনি।’
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পরীমনি। এখন অনেকটাই সুস্থ। পরী বলেন, ‘দুদিন হলো জ্বর, ঠান্ডা দুটোই কমেছে। মোটামুটি ভালোই আছি এখন।’