মাদারীপুরে মুখে গামছা বাধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : 2024-12-28 18:31:45১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরে মুখে গামছা বাধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

মাদারীপুরের রাজৈরে বসতঘর থেকে মুখে গামছা বাধা অবস্থায় তিশা আক্তার (১১) নামে মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজৈর উপজেলার স্লুইসগেট নয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের লোকজনের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত তিশা একই গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে। সে নয়াকান্দি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। 

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যায় তার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিস এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এসময় তিশাকে ডাক দিলে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে তাকে সুকেজের পাশে মুখ বাধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় শাহিনুরের ডাক-চিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্পা রায় তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। লাশটি আজ (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম জানান, আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিস করছিলাম। এসময় বাচ্চাটা কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে যাই এবং আমার মেঝ মেয়ে তিশাকে বাড়ি পাঠাই দেই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেইট আটকানো ও ঘরের মেজেতে দেওয়া ছালার বস্তা আউলা ঝাউলা অবস্থায় আছে। এসময় ভিতরে ঢুকেই দেখি সুকেজের পাশে মুখে গামছা বাধা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। একই সঙ্গে অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান নিহত তিশা আক্তারের বাবা মিলন শেখ।

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।