মাদারীপুরে প্রেমের টানে ইন্দোনেশীয় তরুণী

প্রকাশ : 2024-02-25 11:40:03১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরে প্রেমের টানে ইন্দোনেশীয় তরুণী

প্রেমের টানে ইন্দোনেশীয় তরুণী এখন মাদারীপুরের শিবচরে। জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় রীতিতে বিয়েও করেছেন তিনি। এদিকে ভিনদেশী কনেকে একনজর দেখেতে বরের বাড়ীতে ছুটে আসছে উৎসুক মানুষ। আধো বাংলা ভাষায় কথা বলে, আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে নিরহংকার সহজ সরল আচরণে এই নববধূ মন জয় করেছেন পরিবারের সবার।
ইন্দোনেশিয়ার জেমবার জেলার আমবুলু শহরের ব্যবসায়ী তামামের মেয়ে ত্রিশ বছর বয়সের তরুণী ইফহা ২০১৯ সালে কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে যান। অপর দিকে
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বড় কেশবপুর গ্রামের কৃষক লাল মিয়া মাদবরের ছেলে শামীম মাদর ২০১৮ সালে কাজের সুবাদেই সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান।। আর সেখান থেকেই এই তরুণ-তরুণীর টিকটকের মাধ্যমে প্রথমে পরিচয় ঘটে। পরিচয় থেকে গড়ে উঠে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ দুই বছর নিজেদের বোঝাপড়া শেষে । অবশেষে সেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। আর সেই বিয়েকে ঘিরে গেলো শুক্রবার বরের গ্রামের বাড়ীতে ছিলো ঝমকালো সব আয়োজন। তবে বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে ও উৎসুক জনতার ভীড় কমেনি বরের বাড়ীতে। প্রতিদিনেই ছুটে আসছে বিদেশি কনেকে দেখতে দুর দুরান্ত থেকে মানুষ। বিদেশী কনের নিরহংকার সহজ সরল আচরণে মুগ্ধ এলাকা বাসি সহ বরের পরিবার।
বরের বাবা-লালমিয়া মাদবর প্রথমে বিদেশী কনেকে ছেলে বৌ হিসাবে না মানতে চাইলে ও আধো বাংলা বলা, আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়া ভিনদেশী এই তরুণীর নিরহংকার সহজ সরল আচরণে এখন খুশি বরের পিতা-মাতা। ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা বিয়ের আগেই প্রতিশ্রুতি দেন, স্বামী যেখানে রাখবেন থাকবেন বিদেশী এই কনে। তবে বিদেশী হলেও বাঙ্গালী মেয়েদের মতই বাড়ীর খুটিনাটি বাড়ী কাজ করতে পছন্দ করে তিনি। পুরোপুরি বাংলা ভাষা না জানলেও ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণে সবাই সাথে হাসি আনন্দে মাতিয়ে রাখের বিদেশিনী এই মেয়ে।
কনের বাবা মা প্রথমে বাংলাদেশী যুবককে বিয়ের করার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও বর-কনে দুজনেই তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়। আগামীতে দুজনে মিলে অর্থ উপার্জন করে শেষ বয়সে বাংলাদেশে স্ত্রী নিয়ে বসবাস করার ইচ্ছে বর শামীম মাদবরের।
প্রেমিকার ইফহার বাঙ্গালী বধূ সাঁজার ইচ্ছার পূরণ করতে গেলো ৩০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। বিয়ের সকল কিছু প্রস্তুত করার পর ইফহাকে জানালে ১৭ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইফহা। পরে গেলো শুক্রবার (২৩ফেব্রুয়ারি) রাতে জাঁকজমক ভাবে বরের বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ের দাওয়াতে অংশ নেয় গ্রামের প্রায় হাজার খানের মানুষ।

 

সান