মাদারীপুরে জেলা যুবদল নেতাকে কারন দর্শানোর নোটিশ
প্রকাশ : 2025-12-22 16:24:11১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরে আওয়ামীলীগ নেতা শাজাহান খান ও তার ভাইদের বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারার অভিযোগে মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক ফারুক বেপারীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি।
রেবিবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা নোটিশে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি [ফারুক হোসেন ব্যাপারী), জেলা যুবদলের আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন মর্মে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠনবিরোধী এহেন কর্মকান্ডের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ৩ [তিন) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার মাদারীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাজাহান খানের ভাইদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সআর্বিক পাম্পের সামনে কর্মসূচির ডাক দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। বর্তমানে শাজাহান খান ও তার ছেলে আসিবুর রহমান খান কারাগারে রয়েছেন। তার ভাইয়েরা পলাতক থাকলেও মাদারীপুরে সার্বিক পরিবহন, সার্বিক আবাসিক হোটেল ও সার্বিক পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার সকালে যুবদল নেতা ফারুক হোসেন ব্যাপারীর নেতৃত্বে অন্তত ৪০-–৫০ জন কর্মী শাজাহান খানের ভাই হাফিজুর রহমান জাচ্চু খানের সার্বিক পেট্রোল পাম্পে অবস্থান নেন। এ সংক্রান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ আমলে ফারুক ব্যাপারী শাজাহান খানের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাহারার দায়িত্ব নিয়েছেন।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য কে এম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ফারুক ব্যাপারীর কর্মকন্ড দলীয় ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে। অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের একজন নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। কেন্দ্র থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ফারুক হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘মাদারীপুরে পাঁচটি স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা ছিল। তৃতীয় পক্ষ যেন কোনো সুবিধা না নেয়, সে জন্য আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা হাদির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিলও করেছি, মহড়া দিয়েছি। তবে আমাদের দলে অনেক গ্রুপিং আছে। তারা কেন্দ্রে ভুল বুঝিয়েছে। শাজাহান খানের বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য আমরা পাহারা দিইনি। এটা ভুল ধারণা। নাশকতার আশঙ্কায় আমরা পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম।’