মাদারীপুরের কেউ ঠাঁই পেলেন না মন্ত্রী পরিষদে, হতাশায় জেলাবাসী

প্রকাশ : 2024-01-16 17:18:04১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরের কেউ ঠাঁই পেলেন না মন্ত্রী পরিষদে, হতাশায় জেলাবাসী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুরের ৭জন কৃতি সন্তান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী বিজয়ী হলেও নতুন মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই না পাওয়ায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক রকম হতাশা বিরাজ করছে।

বিগত দিনে জেলায় দু’জন মন্ত্রী হওয়ার নজীর রয়েছে। বিষয়টিকে মাদারীপুরের জন্য দুর্ভাগ্য বলছেন অনেকে। যদিও বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসাবে দেখতে রাজি নন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ। তার কাছে সব সময়ই অগ্রাধিকার পায় এ অঞ্চলের উন্নয়ন।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপরে-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন। তিনি সপ্তম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। লিটন চৌধুরী জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মাদারীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি এ আসন থেকে ৮বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মাদারীপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম। 

এছাড়া ঢাকা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাদারীপুরের কৃতি সন্তান আওলাদ হোসেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাদারীপুরের কৃতি সন্তান খসরু চৌধুরী এবং ফরিদপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাদারীপুরের কৃতি সন্তান মজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুরের মোট ৭জন কৃতি সন্তান জনপ্রিয় নেতা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তারা কেউ স্থান পাননি নতুন মন্ত্রী পরিষদে। এতে এ অঞ্চলের ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

মাদারীপুর-১-(শিবচর) আসন থেকে নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন টানা ৭ম বার সংসদ সদস্য, ২ মেয়াদে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও ৩বার আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি জেলাবাসীর জন্য গৌরবের হরেও হতাশার কমতি নেই।

 

সান