মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে অনুপ্রাণিত মার্টিন লুথার কিং

প্রকাশ : 2024-01-15 12:35:32১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে অনুপ্রাণিত মার্টিন লুথার কিং

মার্টিন লুথার কিং বা মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র বিখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী। তার খ্রিষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যান। আমেরিকায় নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ।

১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জর্জিয়ার আটলান্টায় মার্টিন লুথার কিং জন্মগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধেয় মাইকেল কিং সিনিয়র এবং আলবার্টা উইলিয়ামস কিং এর তিন সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর বড় বোনের নাম উইলি ক্রিস্টিন এবং ছোট ভাইয়ের নাম আলফ্রেড ডেনিয়েল উইলিয়ামস কিং।

কিং বুকার টি. ওয়াশিংটন হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪৪ সালে ১৫ বছর বয়সে মোরহাউস কলেজ,আটলান্টাতে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচীতে তার ঐতিহাসিক ভাষনের শিরোনাম ছিলঃআই হ্যাভ এ ড্রিম।

কর্মজীবনের শুরুতে মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র মানবাধিকার কর্মী ছিলেন, নাগরিক অধিকার রক্ষাই তার উদ্দেশ্য ছিল। মহান এই খ্রিস্টান নেতা ১৯৫৫ সালে মন্টোগমারীতে বাস বয়কটের Montgomery Bus Boycott নেত্রীত্বদান করেন। প্রথমবার রাষ্ট্রপতি হয়ে ১৯৫৭ সালে তিনি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য তহবিল গঠন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি আলবেনিয়া ও জর্জিয়াতে ব্যারথ অভিযান চালান।১৯৬৩ সালে তিনি ওয়াশিংটন মাচ সুসংগঠিত করেন। তিনি একজন সফল বক্তা হিসেবে পরিচিত।

মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র তার খ্রিস্টিয়মতানুসারে অহিংস উপায় নাগরিক অধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য অধিকজনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। সফল এই রাজনীতিবিদ তার মন্ত্রীমুদ্ধকর বক্তৃতা দ্বারা জনমনে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।

নোবেল শান্তি পুরস্কার, ১৯৬৪ সালের ১৪ ই অক্টোবর তিনি তার অহিংস আন্দোলনের জন্য, বিশ্ব শান্তি রক্ষায়, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

৩রা এপ্রিল ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।সহকর্মীরা তাকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অকুতোভয় লুথার কিং তা অগ্রাহ্য করেন। সকলকে হিংসা ত্যাগের আহ্বান জানান। পরদিন ৪ এপ্রিল লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী যুবক জেমস আর্ল রে নামক আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মার্টিন মৃত্যুবরণ করেন।তখন তার বয়স মাত্র ৩৯ বছর।

 

সান