ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু 

প্রকাশ : 2021-04-08 11:22:30১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে চলমান টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে এই ডোজ পাবেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। একইসঙ্গে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ডোজের জন্য গতকাল (বুধবার) থেকেই পর্যায়ক্রমে এসএমএস পাঠানো হয়েছে প্রথম ডোজ নেওয়া সবার কাছে। প্রথম ডোজ নেওয়া কেউ যদি এসএমএস না পান তবে তিনি যে তারিখে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, সেই তারিখ থেকে দুই মাস পর টিকা কার্ড নিয়ে আগের কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

এর আগে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানান, টিকা নিলেও আমাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমরা যত বেশি সচেতন হব তত বেশি সুরক্ষিত থাকতে পারব। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব ডাক্তার-নার্সসহ সব পর্যায়ের মানুষকে নিয়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করতে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের ডাকা হবে প্রথম দিন অর্থাৎ ৮ এপ্রিল। এদিন দ্বিতীয় ডোজ পাবেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। গত ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি উদ্বোধনী কার্যক্রমের আওতায় কয়েকজনকে টিকা দেওয়া হয়। তাদের অনেকে গত চার-পাঁচ দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্য কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা

টিকা গ্রহণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়-

১. বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।

২. যারা যোগ্য হবেন তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস চলে যাবে, যাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু এসএমএস পাননি তারা অবশ্যই টিকা কার্ড এবং টিকা কার্ডের ফটোকপি নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসবেন।         

৩. দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য সবাইকে টিকা কার্ড এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হবে। কারও টিকা কার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে অনলাইন থেকে পুনরায় কার্ড ওঠানো যাবে।

৪. দুই মাস হওয়ার আগে ২য় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে না। তবে পরে নেওয়া যাবে (১২ সপ্তাহ পর্যন্ত)।

৫. রেজিস্ট্রেশন করা হজ যাত্রীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। (এমন হজযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। তাদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে হবে। সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণপত্র ছাড়া এ বছর হজে অংশ নিতে দেওয়া হবে না)।

৬. প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি আগের মতোই এমনকি রমজান মাসেও অব্যাহত থাকবে। তাই প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে।

৭. পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে, শেষ হওয়ার ভয়ে কেউ ভীত হবেন না, গুজবে বিশ্বাস করবেন না, রোজা রেখে টিকা নেওয়া যাবে।

৮. কেন্দ্র পরিবর্তন করে আপাতত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে না।

৯. টিকা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরে আসতে হবে এবং প্রত্যেক টিকাগ্রহণকারীকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, টিকাদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা করলে গ্রহীতার কাজ দ্রুত এবং সহজ হবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাইরে গেলেই ঘরে ফেরার পর বা যেখানে সুবিধা আছে সেখানে সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সঠিক তথ্যের প্রয়োজনে ৩৩৩, ৯৯৯ অথবা ১৬২৬৩ হেল্প লাইনে ফোন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন নার্সকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। এ কার্যক্রমের আওতায় একজন ব্যক্তিকে দুই ডোজ টিকা নিতে হবে।