ভোজ্যতেল আমদানি ভ্যাট কমবে, উৎপাদন-ভোক্তা ভ্যাট প্রত্যাহার হবে: মন্ত্রী
প্রকাশ : 2022-03-14 15:47:55১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে আমদানি পর্যায় ১০ শতাংশ কমাতে। সেটা যদি হয়, তাহলে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে তেল আমদানি করা হয়। সেখান থেকে ১০ শতাংশ কমানো হলে ভ্যাট ৫ শতাংশ হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে এবং ভোক্তা পর্যায়েও ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। দাম কমবে কিনা ব্রাজিল বলতে পারবে, কারণ ৯০ শতাংশ তেল আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।
তিনি বলেন, যার পাঁচ লিটার তেল দরকার সে ১০ লিটার কিনলে ঠেকাতে পারবো না। রমজান উপলক্ষে সবাই কিনতে শুরু করলে তো বাজারে ঘাটতি দেখা দেবেই। যতটুকু কেনা দরকার ততটুকুই কিনি। সবার রান্নাঘরে তো আমরা ঢুকতে পারবো না। রমজান মাসের জন্য বেশি না কেনার অনুরোধ করছি।
পণ্যের কোনো সঙ্কট আছে কিনা জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য মজুদ আছে। সেটা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে। এখন দামটা কেমন হবে সেটি কথা হতে পারে। কেউ কেউ মজুত করে রাখছে, সেটি বড় সমস্যা। টিসিবিও এক কোটি পরিবারকে পণ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে।
সামনের দিনগুলোতে পণ্যের দাম কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমতেও তো পারে। আমরা চেষ্টা করছি, রমজান পর্যন্ত আগের দামটা রাখার জন্য। আমরা ১৩৫০ ডলার দাম ধরে ১৬৮ টাকা প্রতিলিটার তেলার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। বর্তমাসে সে তেল ১৯০০ ডলার হয়ে গেছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। এসআরও হলে পরে আমরা সঠিক দামটা বলতে পারবো। আজ অথবা কালকের মধ্যে আশা করছি চিঠিটা আমরা পেয়ে যাবো।
মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেই। এজন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছি যে রমজান মাস পর্যন্ত আপনারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াবেন না। বাইরে দেশের কোম্পানিগুলো রমজান বা ঈদে ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন অফার দেয়, আমাদের দেশে সেটি নেই। আমরা সব শক্তি দিয়ে কাজ করছি।