ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন, আইনের খসড়া অনুমোদন

প্রকাশ : 2023-02-06 17:12:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন, আইনের খসড়া অনুমোদন

ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ঔষধ আইন ২০২২’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে ‘ঔষধ’-এর সঙ্গে ‘কসমেটিকস’ শব্দটিও যোগ করা হয়েছে। আইনটি এখন থেকে ‘ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২’ নামে  হয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি জানান, নতুন এই আইনে কোনও ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা ওষুধ বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

নতুন আইনে ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা  হয়েছে। আর নিবন্ধন ছাড়া কারখানা থেকে ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।’

প্রস্তাবিত এই আইনে কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনটিতে এন্টিবায়োটিক প্রসঙ্গও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। কোনও দোকান থেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত আইনে মেডিক্যাল ডিভাইস ব্যবহার করার বিষয়েও নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান,  প্রসাধনী উৎপাদন এবং বিতরণও এই আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওষুধ প্রসাধন অধিদফতরের এর তদারকি করবে।

তিনি আরও জানান, এখন থেকে নতুন করে প্রসাধনী উৎপাদন করতে হলে সরকারের লাইসেন্স বা অনুমোদন নিতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন ওষুধ আইনে ৩০টি অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে। যা আগের আইনে ছিল না।

এছাড়াও বৈঠকে ‘কপিরাইট আইন, ২০২২’ এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই বৈঠকে প্রতিবছর ১৬ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস‘ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত এ বিষয়ে পরিপত্রের ‘খ‘ ক্রমিক তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা দেওয়া হয়েছে।