ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে আরও ছোট হয়ে যাবে বিএনপি: হাছান মাহমুদ

প্রকাশ : 2021-09-13 15:48:58১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে আরও ছোট হয়ে যাবে বিএনপি: হাছান মাহমুদ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে বিএনপির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে ভুল করেছে, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে আরও ছোট হয়ে যাবে। যেটা তাদের জন্য আত্মহননমূলক হবে।’

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং কোনো নির্বাচনও বাংলাদেশে হতে দেবে না। এ ধরনের একটা সতর্কবাণী তারা উচ্চারণ করছেন এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

এর উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের কথা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই বলে আসছিল এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। সে সময় তারা ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন বই পুড়িয়ে দেয়। কারণ স্কুলগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল, আর সেখানে রক্ষিত ছিল বইগুলো।’

‘তারা বহু মানুষকে হত্যা করেছে, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। এরপরও তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, দেশে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালেও নির্বাচনের সময় প্রথমে তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তখনও তারা এ ধরনের হুমকি ধমকি দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে শুরুতে তারা বানচালের দিকে না গিয়ে, যদি শুরু থেকে সিরিয়াসলি অংশগ্রহণ করতো, তাহলে হয়তো তারা আরও ভালো ফলাফল করতে পারতো। বর্তমানে বিএনপির একই তর্জন গর্জন শোনা যাচ্ছে, যখন নির্বাচনের বাকি সোয়া দুই বছর বা তার কিছু বেশি।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তারা যে ভুল করেছে, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে বিএনপি আসলে যে ছোট হয়ে আসছে, তারা আরও ছোট হয়ে যাবে। যেটা তাদের জন্য আত্মহননমূলক হবে। যেটি ২০১৪ সালে তাদের জন্য হয়েছিল আত্মহননমূলক, ২০১৮ সালে হয়েছিল।’

সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং লেখনি সেন্সর করার জন্য আওয়ামী লীগ এক লাখ অ্যাকটিভিস্ট নিয়োগ করবে, বিএনপির এমন অভিযোগ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব অ্যাকটিভিস্ট কাজ করবে। এখনও হাজার হাজার অ্যাকটিভিস্ট আমাদের দলের বা ঘরানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকটিভ আছে। সেগুলোকে সমন্বয় ঘটিয়ে যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে কথা বলা হয়েছে। যারা এসব কথা বলে তাদের আসলে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম কিভাবে চলে সে সম্পর্কে ধারণা নেই।’

‘এখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকটিভিস্টরা কাজ করবে। কার কণ্ঠ কে রোধ করবে? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদরা বিদেশে অ্যাকটিভিস্ট নিয়োগ করেছে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য। সে অপপ্রচারের জন্য সুপ্রচার আরও জোরালো হবে। তখন এ অপপ্রচারগুলো মাঠে মারা যাবে। সে শঙ্কা থেকে তারা এসব কথা বলছে।’