ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করতে চায় কানাডা, তবে তদন্তের ক্ষেত্রে ছাড় নয়: ট্রুডো
প্রকাশ : 2023-09-30 10:41:57১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কানাডার নাগরিক ও সেখানকার শিখ ধর্মাবলম্বীদের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে কানাডা ও ভারতের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, তার দেশ ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও গভীর করতে আগ্রহী। তবে হরদীপ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কানাডিয়ান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, ভারত একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর আমরা ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক নীতি উপস্থাপন করেছি। সেই নীতি অনুসারে দেশের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে ও আমরা এ বিষয়ে মনযোগী।
‘তবে কানাডার আইন ও সংবিধানকে লঙ্ঘন করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করতে পারি না। যা ঘটেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আমরা চাই ও এক্ষেত্রে ভারতের উচি কাজ করা প্রয়োজন।’
গত জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের রাজধানী ভ্যানকুভারে একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন দেশটিতে বসবাসকারী শিখদের একজন নেতা। ১৯৭৭ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর জেলা থেকে কানাডা গিয়েছিলেন হরদীপ, পরে সেখানাকার নারিকত্বও অর্জন করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে কানাডার সাম্প্রতিক যে দ্বন্দ্ব, তার সূত্রপাত এখান থেকেই। গত ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনেও দুই দেশের শীতল কূটনৈতিক সম্পর্কের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল।
জি-২০ সম্মেলন শেষে নয়াদিল্লি থেকে ফেরার এক সপ্তাহ পর, ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন।
কানাডার জন্য এই ঘটনাটি যে তীব্র অবমাননাকর, তা বোঝাতে গিয়ে পার্লামেন্ট ভাষণে ট্রুডো বলেন, ‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।’
সূত্র: বিবিসি