ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিখোঁজ
প্রকাশ : 2024-01-30 15:27:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ব্যক্তিগত কাজে দিল্লি থেকে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাঁচির উদ্দেশ্যে রওনা হন ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এরপর থেকেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। বেশকিছু সূত্রের দাবি তিনি নিখোঁজ। যদিও তার পরিবার ও রাজনৈতিক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমম) এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জমি কেলেঙ্কারি মামলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িতে ১৩ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। অভিযানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
জেএমএম নেতা হেমন্তকে খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি প্রধান বাবুলাল মারান্ডি। এক টুইটে তিনি বলেন, 'মিডিয়ার সূত্র ধরে বলা যায়, গভীর রাতে হেমন্ত সোরেন হাওয়াই চটি পরে, মুখে কাগজ চাপা দিয়ে মুখ ঢেকে, দিল্লির বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে পালিয়েছেন। তার নিরাপত্তা সহকারী অজয় সিং ছিলেন তার সঙ্গে। তিনিও নিখোঁজ।'
আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ইডি হেমন্ত সোরেনকে ৯ বার তলব করেছে। প্রতিবারই তিনি সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। শনিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে নতুন করে তলব করে ইডি। ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাকে দিল্লির ইডি কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার উত্তর না পেয়ে ২৯ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়। এরপরই ইডির পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযান চালানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
জানা গেছে, রাঁচিতে হেমন্ত সোরেনের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরেও রয়েছে কড়া নজর, যাতে তিনি কোনোভাবেই দেশের বাইরে যেতে না পারেন। দিল্লি পুলিশ ও ইডির কর্মকর্তারা তার খোঁজ পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। চলছে জোরদার তল্লাশি।
এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দাবি, মাঝরাতে পায়ে চটি পরে ও চাদরে মুখ ঢেকেই পালিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। এও শোনা যাচ্ছে যে আর্থিক দুর্নীতি ও জালিয়াতি মামলায় ইডির ফাঁদে পড়তে পারেন বুঝেই, স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর পরিকল্পনা করছেন জেএমএম প্রধান।
সান