ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজনই থাকেন এরা ক্ষণজন্মা: ফখরুল
প্রকাশ : 2022-03-14 15:33:59১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর সভায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত স্মরণসভায় এ ঘটনা ঘটে।
মওদুদ আহমদের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার সাথে আমার একসাথে ছাত্র রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং রাজনীতিতে এসে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে।
মওদুদ আহমদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা যে কি হারিয়েছি, সত্যিকার অর্থে বিএনপির কথা বলছি না। এই বাংলাদেশ একজন জ্ঞানী, গুণী, প্রকৃত অর্থে একজন রাজনীতিককে হারিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মওদুদ আহমদ আপদমস্তক একজন গণতন্ত্রমনা মানুষ ছিলেন। অনেকেই বলবেন তিনি তো এরশাদের মন্ত্রিসভায় গিয়েছিলেন, কিন্তু সেটাও তিনি গিয়ে ছিলেন গণতন্ত্রের স্বার্থেই। আজ যারা সরকারে তারা একজন ব্যক্তি ছাড়া আর কাউকে সম্মান দিতে জানে না। দেশের স্বাধীনতার বিষয়ে মওদুদ আহমদের অনেক অবদান রয়েছে তা আমরা জানি। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি মানুষের কল্যাণে দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছেন। ভাষা আন্দোলনের সময় অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় জেলে গেছেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্রের জন্য তাকে বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজনই থাকেন এরা ক্ষণজন্মা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি শুধু বিএনপির কথা বলছি না, আমরা সত্যিকার অর্থে একজন গুণী-জ্ঞানী প্রকৃত অর্থে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হারালাম। অবশ্য আজ জ্ঞানের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জ্ঞানীদের খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না রাজনীতিতে। বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে একটা নষ্ট রাজনীতি। এখানে জ্ঞানী লোকদের কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না। তাদের নামও উচ্চারণ করা হয় না, যেমন আজ পল্লিকবি জসীম উদদীনের মৃত্যুবার্ষিকী; আমরাও কিন্তু তাকে স্মরণ করছি না। অথচ তিনি এদেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কবি ছিলেন। এখনও তার কবিতা সবচেয়ে জনপ্রিয়।’
বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের সঞ্চালনায় এবং আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামীমুর রহমান শামীম, মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ, নিপুন রায় চৌধুরী, কৃষক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে বক্তৃতা করেন।