বেসরকারি ব্যাংকে প্রথম নারী এমডি হচ্ছেন হুমায়রা আজম

প্রকাশ : 2021-03-30 13:52:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বেসরকারি ব্যাংকে প্রথম নারী এমডি হচ্ছেন হুমায়রা আজম

অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়রা আজমকে এমডি হিসেবে বেছে নিয়েছে বেসরকারি খাতের ট্রাস্ট ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন হলে তিনিই হবেন দেশের প্রথম কোনো বেসরকারি ব্যাংকের নারী এমডি। এর আগে হুমায়রা আজম প্রথম নারী এমডি হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসির দায়িত্ব পালন করেন। ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গতকাল সোমবার তাঁর নিয়োগ অনুমোদন হয়। 

জানা যায়, হুমায়রা আজম ক্যারিয়ারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ১৯৮৯ সালে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে এইচএসবিসি বাংলাদেশে যোগদান করেন। এইচএসবিসি থেকে ২০০২ সালে যান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। ২০০৯ সালের এপ্রিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসির এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেন। সে সময় সমস্যায় থাকা প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুরে দাঁড় করাতে সক্ষম হন তিনি।

২০১২ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক এশিয়ায় যোগ দেন প্রধান ঝুঁকি পরিপালন কর্মকর্তা হিসেবে। ২০১৮ সালের মার্চে ট্রাস্ট ব্যাংকে প্রধান ঝুঁকি পরিপালন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেন।

চাকরি জীবনে হুমায়রা আজম যেমন অনেক কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড় করাতে সহায়তা করেন, আবার অনেক ব্যাংকের নতুন ব্যবসাও তাঁর হাতে শুরু হয়। হুমায়রা আজম এখন ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পাশাপাশি ব্যাংকটির এমডি (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পালন করছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন হলে হুমায়রা আজমই হবেন দেশের বেসরকারি খাতের প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের প্রথম নারী এমডি। এর আগে অনেক ব্যাংকে এমডি পদে ভারপ্রাপ্ত ও চলতি দায়িত্বে নারী কর্মকর্তারা ছিলেন। তবে পূর্ণাঙ্গ নারী এমডি কখনো পায়নি বেসরকারি কোনো ব্যাংক।

জানতে চাইলে হুমায়রা আজম গতকাল সোমবার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পেলে আমি দায়িত্ব নেব। এমডি হলে চেষ্টা করব সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যাংকটির উন্নতি করার, যা আমি চাকরিজীবনের শুরু থেকেই করে আসছি।’

এর আগে সরকারি ব্যাংক খাতে প্রথম নারী এমডি পায় প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে এমডি হয়েছিলেন মাহ্তাব জাবিন।