বেনাপোল এক্সপ্রেসের আগুন পরিকল্পিত: ডিএমপি

প্রকাশ : 2024-01-06 10:25:31১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বেনাপোল এক্সপ্রেসের আগুন পরিকল্পিত: ডিএমপি

বিএনপির ডাকা হরতাল শুরুর আগের রাতে রাজধানী ঢাকার পথে বেনাপোল এক্সপ্রেস আগুনের ঘটনাটিকে ‘স্পষ্ট নাশকতা’ বলছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “ঘটনার কারণ এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে এটি যে নাশকতা তা স্পষ্ট; এটি বুঝাই যায় যে ইচ্ছে করে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।”

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি)  রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।মহিদ উদ্দিন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারণ মানুষ, শিশু, নারীদের প্রতি এ ধরনের আচরণ  অমানবিক যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই কাজ যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আগুনের কোনও ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন প্রথম কাজ হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। যেটা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা করেছেন। জীবন বাঁচানো তাদের প্রথম কাজ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), বিজিবি, র‍্যাব সহ সকলে এসেছে। আমাদের কর্মকর্তারা এসেছেন। আমাদের যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আছেন তারা এখন থেকে যে আলামত সংগ্রহ করবেন। আমরা চেষ্টা করব কী কারণে আগুন লেগেছে সেটি জানার।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল শুরুর আগের রাতে এই আগুনের ঘটনাটি ঘটল। এদিন সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, একটি পক্ষ মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু তাদের তথ্য পেয়েছেন তারা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৫৪ যাত্রী নিয়ে দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। যাত্রাপথে ১১টি স্টেশনে বিরতি নেয় বেনাপোল এক্সপ্রেস। ট্রেনে কমলাপুরগামী যাত্রী ছিলেন ৪৯ জন। ট্রেন ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রাত ৯টার দিকে। এর মধ্যে রাজধানীর গোপীবাগ পৌঁছালে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের চার বড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। এসব বগিতে থাকা চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
 
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে দেশে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।