বিড়ি শিল্পে শুল্ক প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : 2024-05-30 15:45:51১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর থেকে শুল্ক ও অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন ও শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমঘন শিল্পটি শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেন। বর্তমানে হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিকরা বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বঙ্গবন্ধুর আমলের মতো আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর থেকে শুল্ক ও অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করে বিড়ি শিল্পকে রক্ষার দাবি জানাই।
বক্তারা বলেন, ভারত সরকার বিড়ি শিল্পকে কুটিরশিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়াতেও হাতে তৈরি বিড়িকে প্রণোদনা দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বারবার বিড়ি শিল্পের ওপর মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হয়েছে। অসম শুল্কের ভারে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি কারখানার মালিকদের অবদান অপরিসীম। এই শিল্পের মালিকরা এ দেশে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশীয় শিল্পের প্রসারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে।
সংগঠনটির দাবিগুলো হলো-
- বিড়িতে শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে,
- বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে,
- বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে,
- বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে,
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির দালালি বন্ধ করতে হবে,
- অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করতে হবে,
- বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে।
সা/ই