বিপিএলে দল কিনলেন শাকিব খানের 'রিমার্ক হারল্যান'
প্রকাশ : 2024-08-17 11:42:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
প্রতি বছরেই বিপিএলের মালিকানায় কমবেশি পরিবর্তন এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দাঁড়িয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির কারণে এবারের প্রসঙ্গটা ভিন্ন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিপিএলে আসতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন, সেটিই অনুমিত। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টের একাদশ আসর মাঠে গড়ানো নিয়েও রয়েছে সংশয়। তার মধ্যেই একটি দলের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চিত্রনায়ক শাকিব খানের কোম্পানি রিমার্ক-হারল্যান।
প্রসাধনী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কেবল শাকিব একাই নন, আরও অনেকে যুক্ত আছেন। বিসিবি থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার মালিকানা কিনেছে রিমার্ক-হারল্যান কোম্পানি। তাতে আগামী আসরে এই দলের নামেও আসতে পারে পরিবর্তন।
এ দিকে শেখ হাসিনার পতনের পরে আগামী বিপিএলের আয়োজনও পড়েছে শঙ্কার মুখে। দীর্ঘদিন ধরে এই টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ সোহেল ও সদস্য সচিব হিসেবে মুহাম্মদ ইসমাইল হায়দার মল্লিক। সরকার পতনের পরে অনেকের মতো এই দুই বিসিবি পরিচালকের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সহসাই সামনে আসবেন বলেও মনে হচ্ছে না।
আগামী মাসে প্লেয়ার্স ড্রাফট হওয়ার কথা রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেসব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই নতুন আসর মাঠে গড়ানোর বার্তা ছিল। তবে এখন সেই কাজ সামনে এগিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন এবং সব কাজ স্বাভাবিক করার জন্য বোর্ডে সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে সেটিও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং প্রতিটি কমিটি করে নতুনভাবে কাজ শুরু করাটাও প্রশ্নাতীত নয়।
বিপিএলের দশম আসরে সাতটি দল অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে আগামী আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অংশ নিবে না বলে জানা গেছে। যদিও দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। বাকি ছয় দলের মধ্যে সবাই দল নিয়ে ভাবছে। যেখানে ঢাকার মালিকানায় এসেছে পরিবর্তন। গেলবার নিউটেক্স গ্রুপ ছিল মালিকানায়। তার আগের আসরে রুপা গ্রুপ ও পূর্বে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানায় খেলেছে ঢাকা। প্রতিবার মালিকানা পরিবর্তনের পাশাপাশি নামও পরিবর্তন হয়েছে।
একাদশ আসরেও নাম পরিবর্তন হবে, এমনটিই মনে করা হচ্ছে। প্রতিবার এভাবে মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বিভিন্ন সময়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু গভর্নিং কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকা শেখ সোহেল ও মুহাম্মদ ইসমাইল হায়দার মল্লিক সে বিষয়ে কর্ণপাত করেননি।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছিলেন, 'আমাদের পক্ষে কোনো অবস্থায় রাজস্ব শেয়ার করা সম্ভব না। আর্থসামাজিক নানা বিষয় রয়েছে, যেগুলোর কারণে বিপিএলের রাজস্ব ফ্রাঞ্চাইজিদের মধ্যে বণ্টন করা হয় না। কিংবা করাও সম্ভব নয়। কারণ, সম্প্রচার স্বত্ব থেকে শুরু করে বিপিএল কর্তৃপক্ষ নানা খাত থেকে যে আয় করে থাকে, তা বণ্টন করার মতো পর্যাপ্ত নয়।' এবার তারা পর্দার আড়ালে রয়েছেন। বোর্ডে পরিবর্তন এলে কেমন হয় পরবর্তী আসরটি, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।