বিদেশি বউকে নিয়ে হেলিকপ্টারে দেশে এলেন এক প্রকৌশলী

প্রকাশ : 2024-05-08 11:57:33১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বিদেশি বউকে নিয়ে হেলিকপ্টারে দেশে এলেন এক প্রকৌশলী

পঞ্চগড়ে  হেলিকপ্টার এলো দম্পতি।  নামলো এক স্কুল মাঠে। বেরিয়ে এলেন এক দম্পতি। চারপাশে উৎসুক জনতা। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে এমন এক ভিন্ন আয়োজনের দেখা মিলল পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাড়েয়া ইউনিয়নের মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল মাঠে।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম শহিদ নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসার স্বপ্ন থেকেই এই উদ্যোগ জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। মেঘনা এ্যাভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টারে চড়ে অবতরণ করলে তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। শহিদুল ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আলোক পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহর আলী ও রহিমা বেগমের ছেলে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুরে গিয়ে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইন্সিটিউটে পড়াশুনা করেন শহিদুল। এর পর প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও বর্তমানে নিজের কনস্ট্রাকশন কোম্পানি পরিচালনা করে আসছেন। এর মাঝে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিঙ্গাপুরীয়ান এই তরুণীকে বিয়ে করে জীবন সঙ্গী করেন তিনি।

স্থানীয় জানান, ইতোপূর্বে টিভি ও মোবাইলে হেলিকপ্টারে বউ আনার খবর দেখেছি। আজ আমাদের এলাকার ছেলে বউ নিয়ে এসেছে। তাই আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে হেলিকপ্টার ও নববধূকে দেখতে এসেছি। আলেয়া বেগম নামে এব নারী বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনছি আমাদের এলাকায় বিদেশী বউ হেলিকপ্টারে আসবে। তাই আমরা সকাল থেকে তাদের দেখতে স্কুল মাঠে অপেক্ষা করছিলাম। 

স্থানীয় আমিরুল হক ও নুরুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের অনেক ভালো লাগছে। কারণ আমাদের এলাকার ছেলে শহিদ বিদেশ থেকে হেলিকপ্টারে ফিরেছে। সাথে নতুন বিদেশী বউ নিয়ে এসেছে। তাদের দেখে আমরা সবাই খুবই আনন্দিত। আজ আমাদের হেলিকপ্টার দেখার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

শহিদুলের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন ধরে থাকছে। সে সেখানে বিয়ে করে নতুন বউকে নিয়ে এবার প্রথম দেশে এসেছে। তার ইচ্ছা ছিল নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসবে। তাই তাদের আসার পর আমরা তাদের বরণ করে নিয়েছি।

প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে সিঙ্গাপুরে থাকছি। আমার স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার করে আমার স্ত্রী ও ডাইরেক্টরকে নিয়ে বাংলাদেশে আসা। সেই স্বপ্ন থেকে আজ নিজ জন্মভূমিতে ফিরেছি। খুব ভালো লাগছে, আমাদের বরণ করে নিতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষ এসেছে। তবে আরো ভালো লাগছে, যে স্কুল থেকে পড়াশোনা করে আজ আমি বাইরে সে স্কুলের মাঠেই আমাদের হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে। স্থানীয়দের এমন ভালোবাসা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সিঙ্গাপুরীয়ান ওই নববধূ। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তিনি।