বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন 'মাশা আল্লাহ'
প্রকাশ : 2024-04-27 10:45:08১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকালে মুশফিকুর রহিম একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ‘মাশাআল্লাহ’ লিখে তারপর তিনটি ইমোজি দিয়েছেন। কী কারণে পোস্টটি দেওয়া, সেটা কারও হয়তো বুঝতে বাকি নেই। বিতর্কিত এক আউটের স্বীকার যে গতকাল বৃহস্পতিবার হয়েছেন, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান ম্যাচের আলোচিত ঘটনা মুশফিকের আউটকে ঘিরে। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে নাঈম হাসানকে তুলে মারতে যান মুশফিক। ওয়াইড লং অন এলাকায় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন আবু হায়দার রনি। প্রাইম ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার পর উল্লাস করতে দেখা যায় মোহামেডানের ক্রিকেটারদের। তবে ঘটনা যে এখানেই থেমে থাকেনি। ছক্কা না আউট—এই সমস্যার সমাধান করতেই খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি এবং এ আই এম মনিরুজ্জামান। শেষ পর্যন্ত মুশফিককে আউট ঘোষণা করা হয়।
পরে দেখা যায়, ডাইভ দিয়ে ওঠার সময় বাউন্ডারি সীমানায় রনির পা লেগে যায়। এই ছবিই নিজের ফেসবুক পেজে আজ পোস্ট করেন মুশি। তৃতীয় আম্পায়ার থাকলে হয়তো এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাতে আরও সূক্ষ্মভাবে মুশফিকের আউট নিয়ে পর্যালোচনা করা যেত।
মুশফিক পোস্টটি দেওয়ার পর দ্রুতই অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার। মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।
সুপার লিগের ম্যাচটিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। মোহামেডান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে করে ৩১৭ রান। রান তাড়া করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচ-সেরা হয়েছেন রনি তালুকদার। ১৩১ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১৪১ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রনি তালুকদার বল ঠেলে দিয়েছেন আবু হায়দারের কোর্টে।
রনি তালুকদার বলেন, ‘সেটা তো রনিই ভালো জানে। ক্যাচটা নিয়েছে রনি। রনির ওপরই নির্ভর করছে। সে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তার ওপরই নির্ভর করবে। কারণ, এখানে ক্যামেরা তো ওইভাবে ছিল না। তৃতীয় আম্পায়ার যদি থাকতেন, তাহলে সেটা দেখতে পারতেন। এটা খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েই যায়।’