বাঙালীর প্রাচীন সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যে সেজেছে শিবগঞ্জ ইউএনও কার্যালয়

প্রকাশ : 2021-03-21 12:23:27১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বাঙালীর প্রাচীন সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যে সেজেছে শিবগঞ্জ ইউএনও কার্যালয়

রশিদুর রহমান রানাঃ শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ আদি রূপ, কিন্তু বর্তমানে নতুন সাজে সেজেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ। কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসা আড়াই হাজার বছর আগের প্রাচীন বাংলার রাজধানী পুন্ড্রনগরের দর্শনীয় স্থান সহ প্রাচীন ঐতিহ্যের সমারোহে সেজেছে নতুন রূপে। শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে পা ফেলে বর্ধিত সৌন্দর্য্যকরণ দেখলে দেহ-মন শীতল হয়ে যায়। 

ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবিকে ধারণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন পানির ফুয়ারা, পানির ফুয়ার বেষ্টনী সহ দেয়ালে দেয়ালে স্থান পেয়ে বিভিন্ন মুরাল বা ভাস্কর্য্য। এসব মুরালে স্থান পেয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন খন্ডিতচিত্র সহ আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন রাজধানী পুন্ড্রনগরীর ইতিহাস, আবহমান বাংলার বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি, ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, গোকুল মেধ (লোঁককাহিনীর বেহুলার বাসর ঘর), ভাসুবিহার (নরপতির ধাপ) সহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূূর্ণ চিত্র।

এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক স্বরূপ স্থাপন করা হয়েছে মুরাল। গ্রাম বাংলার আবহমান বিভিন্ন দৃশ্য অবলোকন পূর্বক রচিত ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ মুরাল ইতিমধ্যে উপজেলার শিক্ষার্থী সহ ইতিহাস-ঐতিহ্যপ্রেমীসহ সবশ্রেণির মানুষের মন কুড়িয়েছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন বাংলার এসব হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। এমনকি বগুড়া জেলার মধ্যে এরকম কাজ মডেল স্বরূপ স্থান করে নিয়েছে। 

নব-নির্মিত এ মুরালে বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে গরু ও লাঙলে ধান চাষ, দেশীয় হাত পাখা, কুলা, কাচি, হুক্কা, মাটির বিভিন্ন আসবাবপত্র, মাটির ঘর-বাড়ি, নদীর পার, দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ, বিভিন্ন বৃক্ষসহ দেশীয় হরেক রকম নকশা। চিত্রটি তুলিতে ফুটে তুলেছেন চিত্র শিল্পী কাঁদা মাটির মাহবুর রহমান রানা। 

উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য্যবর্ধরণের পরিকল্পনাকারী শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবীর জানান, বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রাচীন বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যই আজ অজানা। আমাদের বাঙালী জাতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আমাদের প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেসব ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এ সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ ভবিষ্যতেও চালু থাকবে আশা করি।