বাঙালি সংস্কৃতির ম্যাটিনি আইডল উত্তম কুমার
প্রকাশ : 2023-09-03 14:04:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
উন্মাদনার আরেক নাম সিনেমার নায়ক নায়িকা। সাধারণত তরুণ প্রজন্ম হালফ্যাশনের সিনেমার জন্য পাগলপ্রায়। তার প্রিয় অভিনেতার মত করে কথা বলা ও তার মত পোশাক পরার মত নানান কার্যক্রম করে থাকে। কিন্তু এমন একজন আছেন যিনি হালফ্যাশনের অভিনেতা নন, সর্বকালের সকল প্রজন্মের শ্রদ্ধার পাত্র, তিনি হলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত তিনি হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা। তাছাড়া তার রুচি, বেশভূষা, বাচনভঙ্গী প্রকৃতপক্ষে অনুকরণীয় কারণ তাঁকে বাঙালি সংস্কৃতির আইকন এবং বাংলার ম্যাটিনি আইডল রুপে ধরা হয়।
প্রকৃত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় তিনি একাধারে ছিলেন একজন ভারতীয়-বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁকে 'মহানায়ক' আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
উত্তম কুমার প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন, ১৯৪৮ সালে তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দৃষ্টিদান থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা মোট ২০২টি, যার মধ্যে ১৫টি হিন্দি ছবিও আছে। তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলির মধ্যে অগ্নিপরীক্ষা, হারানো সুর, সপ্তপদী, ঝিন্দের বন্দী, জতুগৃহ, লাল পাথর, থানা থেকে আসছি, রাজদ্রোহী, নায়ক, এন্টনী ফিরিঙ্গি, চৌরঙ্গী, এখানে পিঞ্জর, স্ত্রী, অমানুষ, অগ্নীশ্বর, সন্ন্যাসী রাজা ইত্যাদি অন্যতম। উত্তম কুমার ভারতের প্রথম অভিনেতা যিনি ১৯৬৮ সালে জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান পান। ১৯৬৭ সালের চলচ্চিত্র চিড়িয়াখানা ও এন্টনী ফিরিঙ্গির জন্য, তাঁকে বাংলা চলচ্চিত্রের সবচাইতে জনপ্রিয় ও সফল অভিনেতা হিসেবে ধরা হয়। ১৯৬৯ সালে বাংলার কোনো এক পত্রিকা তাকে প্রথম মহানায়ক বলে সম্মোধন করে। জনসাধারণের কাছেও তিনি মহানায়ক হয়ে ওঠেন।
১৯৯৩ সালে টালিগঞ্জ ট্রাম্প ডিমোর পাশে তাঁর একটি র্মমর মূর্তি স্থাপিত হয়। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর নামে মহানায়ক পুরস্কার চালু করেন বাংলা চলচ্চিত্রে আজীবন স্বীকৃতির জন্য। এছাড়াও তাঁর নামে ২০০৯ সালে টালিগঞ্জের মেট্রো স্টেশনের নামকরণ করা হয় যার নাম মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন।