বাগেরহাটে তরুণদের নেতৃত্বে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রনয়নে সংলাপ অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : 2025-10-13 18:45:32১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

তারুন্যর স্বপ্ন, আমার মেনিফেস্ট, আমার ভবিষ্যৎ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, বাগেরহাটে তরুণদের নেতৃত্বে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রণয়ন উদ্যোগে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) সকালে এক্টিভিস্টা বকাগেরহাট ও রামপালের আয়োজনে এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশন এইডের যৌথ আয়োজনে জেলা পরিষদ হলরুমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ ও স্থানীয় জনগণের দাবি-দাওয়া আগামী নির্বাচনী ইস্তেহারে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হয়েছে বলে দাবী করছে আয়োজকরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, এএসএম মন্জুরুল হাসান মিলন। এ সময় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট ১ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ সালাম, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থি শেখ মন্জরুল হক রাহাদ, এনসিপি প্রার্থী সৈয়দ মোর্শেদ আনোয়ার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ জিল্লুর রহামান, বাগেরহাট ২ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থি শেখ আঃ ওয়াদুদ, , এনসিপি প্রার্থী মোল্লা রহমত উল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাও. মোশারেফ হোসেন।
বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, টেকনাফ ও চট্টগ্রাম জেলার তরুণদের অংশগ্রহণে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ধাপে ধাপে ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় একটি জনকেন্দ্রিক ও তরুণনেতৃত্বাধীন নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরি করা হচ্ছে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (FGD), কি ইনফরমেন্ট ইন্টারভিউ (KII) এবং স্টেকহোল্ডার পরামর্শসভার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের প্রকৃত চাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করে তা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে তরুণরা তাদের স্থানীয় সমস্যা ও দাবিসমূহ রাজনৈতিক নেতাদের সামনে তুলে ধরেন। আলোচনায় উঠে আসে জলবায়ু সহনশীলতা, জীবিকা নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানির অধিকারসহ নানা স্থানীয় ইস্যু। তরুণরা জোর দিয়ে বলেন, তাদের কণ্ঠ যেন স্থানীয় উন্নয়ন ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিতে প্রতিফলিত হয়।
অনুষ্ঠানে এএসএম মন্জুলুল হাসান মিলন বলেন, “এই ধরনের অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া জনগণ ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে।”এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো একটি তরুণ-অন্তর্ভুক্ত গণতন্ত্র গড়ে তোলা, যেখানে নির্বাচনী ইস্তেহার জনগণের প্রকৃত চাহিদা থেকে তৈরি হবে এবং নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যাবে।