বাংলার মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কবর নিশ্চিত করবেন ছাত্রলীগ
প্রকাশ : 2023-01-12 13:47:01১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির প্রতিশব্দ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নামের অপশক্তিকে সামাজিকভাবে একঘরে করার জন্য আজকের ছাত্রসমাজের মধ্যে একটি পারস্পরিক সমঝোতা ও সম্পর্ক তৈরি করা প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বর্জন করার শপথ নিতে হবে। আগামী বছরে এই বাংলার মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কবর নিশ্চিত করবেন তাঁরা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি এসব কথা বলেন।
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট আজ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। বিএনপির গণ-অবস্থানকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি করে ছাত্রলীগ। অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাপনী বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, গণতন্ত্র ও সন্ত্রাস, শিক্ষা ও সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস ও উন্নয়ন এবং দূতাবাস রাজনীতি ও জনগণের ম্যান্ডেটের রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। যারা গণতন্ত্র ও গণমানুষের শত্রু, যারা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে দেশি-বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করে এখনো হুঙ্কার দেয়, তাদের দর্প আমরা চূর্ণ করে দেব এবং বাংলার মাটি থেকে তাদের নিশান আমরা মুছে দেব। এই শপথ আজকের ছাত্রসমাজকে নিতে হবে।’
অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াত অন্ধকারের প্রতিনিধিত্ব করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী শক্তি রাজনৈতিক দলের ছদ্মবেশে অপরাধী চক্র। তারাই আজ অবস্থান কর্মসূচির প্রহসন তৈরি করেছে। অবস্থান কর্মসূচির নামে খুনিদের এক করেছে।
অবস্থান কর্মসূচির নামে তারা দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে নিয়ে সড়কের মধ্যে বনভোজন আয়োজনের চেষ্টা করেছে। অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের পরাজয় নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমাদের কারোরই জীবন নিরাপদ নয়।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের সঞ্চালনায় আজ অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি রাজিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।